মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বহু বাঁক পেরিয়ে কেরিয়ারের শেষ লগ্নে কোহলি। ক্রিকেট অনেক কিছুই দিয়েছে তাঁকে। মিলেছে বহু সম্মান। মাত্র চব্বিশ বছরেই পেয়েছিলেন বিশ্বকাপের স্বাদ। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে কাপ জেতার পর ওয়াংখেড়েতে কিংবদন্তি শচীন তেন্ডুলকরকে কাঁধে নিয়ে ঘুরেছিলেন। সেই কাঁধই পরবর্তী সময় ভারতীয় দলকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে একের পর এক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। হয়েছে বিশ্বের এক নম্বর টেস্ট দল। তবুও প্রশ্ন ওঠে, ক্যাপ্টেন হিসেবে কতটা সফল কোহলি? বোর্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে জাতীয় দলের দায়িত্ব ছেড়েছেন। নামিয়ে রেখেছেন আরসিবি’র নেতৃত্বও। আসলে যে অধিনায়ক কাপ জিততে পারেন না, তিনি তো ব্যর্থই। সৌরভ গাঙ্গুলির ক্ষেত্রেও তাই। তাঁদের দেখা হবে ভারতীয় ক্রিকেটের ‘সেকেন্ড ক্লাস সিটিজেন’ হিসেবে। কপিল দেব, মহেন্দ্র সিং ধোনিদের সঙ্গে সামনের সারিতে বসার সুযোগ পাবেন না কোনওদিনই।
সাফল্যের নিরিখে ভারতের সর্বকালের অন্যতম সেরা অধিনায়ক ধোনিই। জোড়া বিশ্বকাপ রয়েছে ঝুলিতে। পাঁচাট আইপিএল ট্রফি। এমনকী রোহিত শর্মাও পাঁচবার মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন। বিরাট-শূন্য। এখানেই তিনি পিছিয়ে। ব্যাটসম্যান হিসেবে তাঁর মুকুটে যোগ হয়েছে একের পর এক পালক। তবুও অধরা আইপিএল ট্রফি। এবারের কোটিপতি লিগে তাঁর দল আরসিবি’র নাটকীয় উত্থান রূপকথার গল্পকেও হারা মানায়। টানা ছ’টি ম্যাচে হেরে আশা প্রায় শেষ হয়ে গিয়েছিল। তারাই টানা ছ’টি ম্যাচ জিতে প্লে-অফে জায়গা করে নেয়। তার নেপথ্য নায়ক ছিলেন বিরাট কোহলিই। ১৫টি ম্যাচে ৭৪১ রান। স্ট্রাইক রেট ১৫৪.৬৯। একটি সেঞ্চুরিও হাঁকিয়েছেন। ব্যাটিং গড় ৬১.৭৫। এমন ঈর্ষণীয় পারফরম্যান্সের স্বীকৃতি বলতে শুধুই কমলা টুপি। আইপিএল সাম্রাজ্যে তিনিই অঘোষিত সম্রাট। কিন্তু মুকুটহীন। কোহলি যেন মহাভারতের কর্ণ। প্রবল আকাঙ্খা, ইচ্ছাশক্তি তাঁকে অতুলনীয় দক্ষতার অধিকারী করে তুললেও বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্টে এবারও অপূর্ণ রইল ভিকের স্বপ্ন।
আসলে ক্রিকেট এখনও টিম গেম। সেটা হাড়ে হাড়ে বুঝছেন বিরাটও। তিনি হয়তো চেষ্টার ত্রুটি রাখেননি, কিন্তু বাকিরা! না হলে কী গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের মতো ক্রিকেটারের হাত থেকে সহজ ক্যাচ পড়ে। এটাই নিয়তি। গোটা টুর্নামেন্টে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স মেলে ধরা তারকার ব্যাটও আচমকা থমকে গেল প্লে-অফের মঞ্চে। ক্রিকেট দেবতা হয়তো চাননি কোহলির হাতে আইপিএল ট্রফি উঠুক। তাহলে তিনি অমরত্বের স্বাদ পেতেন। সেই অপূর্ণতা সত্ত্বেও ক্রিকেট জনতার মনে বিরাট হয়ে থাকবেন আইপিএলের ‘ট্র্যাজিক হিরো’।