মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বিদেশে বসেও আইপিএলের উত্তেজনা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করেছেন সম্বরণ। শহরে ফিরে মঙ্গলবারও তাঁর চোখ ছিল টিভির পর্দায়। সানরাইজার্সকে যেভাবে কেকেআর বশ মানিয়েছে, তাতে তিনি বিন্দুমাত্র বিস্মিত নন। বাংলার রনজি জয়ী দলের অধিনায়কের কথায়, ‘এবার শুরু থেকেই কেকেআর দুরন্ত পারফর্ম করেছে। এর সিংহভাগ কৃতিত্বই দিতে হবে ফিল সল্ট ও সুনীল নারিনকে। ক্যারিবিয়ান তারকাকে দিয়ে ওপেন করানোর সিদ্ধান্ত ক্লিক করেছে। টি-২০ ক্রিকেটে পাওয়ার প্লে’তেই ম্যাচের গতিপ্রকৃতি অনেকটা বোঝা যায়। মোতেরায় প্রথম কোয়ালিফায়ারই তার প্রমাণ। নতুন বলে মিচেল স্টার্ক বিপক্ষের ব্যাটিংয়ে ধস নামিয়ে বুঝিয়ে দিল, কেন তাকে ২৪.৭৫ কোটি টাকা দিয়ে নেওয়া হয়েছে। ও যে বলে ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেছে, তা এক কথায় অনবদ্য। বিশ্বের যে কোনও তারকা ব্যাটসম্যান এই বলে আউট হতে পারত। পাওয়ার প্লে’তে পর পর উইকেট হারানোটাই কাল হল হায়দরাবাদের। তবে পেসারদের গড়ে দেওয়া মঞ্চে কেকেআরের স্পিনাররা যেভাবে দাপট দেখাল, তা অনবদ্য। চেন্নাইয়ে ফাইনাল। মে মাসের শেষ দিকে দক্ষিণ রাজ্যগুলিতে বৃষ্টিপাত বেশি হয়। উইকেট ক্রমশ আলগা হতে থাকে। তার ফলে সুবিধা পায় স্পিনাররা। বরুণ চক্রবর্তীর হোম গ্রাউন্ড আবার চেন্নাই। চিপকে ও অনেক ম্যাচ খেলেছে। ফর্ম ধরে রাখতে বরুণ কিন্তু খেতাবি মঞ্চে নায়ক হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে সুনীল নারিনের বোলিংয়ের প্রশংসা করা দরকার। ব্যাট হাতে ও শুধু দলকে নির্ভরতা জোগায়নি। বল হাতে রানের গতিতে লাগাম টানার ব্যাপারে ওর জুড়ি মেলা ভার। বরুণ-নারিন জুটির কারণেই ফাইনালে এগিয়ে থাকবে নাইট রাইডার্স। আর স্টার্ক যদি শুরুতে আগুন ঝরায়, তাহলে তো আর কথাই নেই।’
একই সঙ্গে শ্রেয়সদের সতর্ক করেছেন সম্বরণ। তিনি বলেছেন, ‘ফাইনালে ওঠার পর ক্রিকেটাররা আত্মতুষ্টিতে ভুগতে পারে। এই ব্যাপারে কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত ও মেন্টর গৌতম গম্ভীরকে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ, খেলাটা টি-২০। মুহূর্তে বদলে যায় ম্যাচের রং। রাসেল, বেঙ্কটেশদের বলব, এখন আর অন্য কিছু নিয়ে মাথা ঘামিও না। আর একটা ম্যাচ জেতার জন্য জানপ্রাণ লড়িয়ে দাও। তোমাদের সাফল্য শাহরুখের মতোই হাজার হাজার কেকেআর সমর্থকের মুখেও হাসি ফোটাবে।’