পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
কীভাবে কাজ করছে এই প্রতারণা? হ্যাকাররা প্রথমে ব্যবহারকারীর পরিচিতদের মাধ্যমে হোয়াটসঅ্যাপে একটি লিঙ্ক শেয়ার করছে। এই লিংকে থাকা অ্যাপটি ইনস্টল করলে ফোনের সমস্ত ডেটা, বিশেষত ব্যাংকিং অ্যাপ ও পাসওয়ার্ডসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হ্যাকারদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাচ্ছে। অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীরা বিষয়টি বুঝে ওঠার আগেই হ্যাকাররা সেই ফোন থেকে আরও অনেকের কাছে এই ক্ষতিকারক অ্যাপের লিঙ্ক শেয়ার করছে। এর থেকে অ্যান্ড্রয়েডগুলি থেকে সমস্ত তথ্য হ্যাক হয়ে যাওয়ার প্রবল সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।
এর জন্য হ্যাকাররা সরকারি আধিকারিক এবং জনপ্রতিনিধিদের অ্যান্ড্রয়েড ফোনকে বেছে নিচ্ছে। কারণ, একজন সরকারি আধিকারিক বা জনপ্রতিনিধি হোয়াটসঅ্যাপ থেকে যদি ‘আমার রেশন’, ‘আবাস যোজনার’ অ্যাপের লিঙ্ক যায় সেটা সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়। সেটাতে ক্লিক করে ইন্সটল করলেই ঘটে যাচ্ছে বিপত্তি। ওই লিঙ্কে ক্লিক করতে গিয়ে অনেকেরই হোয়াসঅ্যাপ নিষ্ক্রিয় হয়ে যাচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সাইবার বিশেষজ্ঞ সুদীপ্ত শেঠ বলেন, ‘অজানা এবং অবিশ্বাস্য উৎস থেকে পাওয়া কোনও অ্যাপ কখনোই ফোনে ইনস্টল করা উচিত নয়। ভুলবশত ইনস্টল হলে সঙ্গে সঙ্গেই সেটিংসে গিয়ে অ্যাপটি আন-ইনস্টল করতে হবে এবং প্রয়োজনে পুরো ফোন ফরম্যাট করতে হবে।’ সুদীপ্তর সংযোজন, ‘বর্তমানে হ্যাকাররা জনপ্রিয় সরকারি পরিষেবা বা আর্থিক সহায়তার নামে এই ধরনের কৌশল অবলম্বন করছে। তাই সাধারণ মানুষকে সর্বদা সতর্ক থাকতে হবে এবং কোনও সন্দেহজনক লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে।’
সাইবার ক্রাইম দপ্তরের পুলিস আধিকারিকদের জানাচ্ছেন, অজানা উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড না করে শুধুমাত্র গুগল প্লেস্টোর থেকে নিশ্চিৎ হয়ে তবেই অ্যাপগুলি ইন্সটল করা উচিত। তাছাড়া কোনও লিংক ক্লিক করার আগে যাচাই করতে হবে। কোনও পরিচিত ব্যক্তি লিংক শেয়ার করলেও তার উৎস নিশ্চিত না হলে ক্লিক মোটেই করা উচিৎ নয়। সেই সঙ্গে ফোনে অ্যান্টিভাইরাস অ্যাপ ব্যবহার জন্য বার বার অনুরোধ করেছেন তাঁরা। তবুও কোনও ভাবে ক্ষতিকারক অ্যাপ ইনস্টল হয়ে গেলে সঙ্গে সঙ্গে আন-ইনস্টল করুন এবং প্রয়োজনে ফোন ফরম্যাট করুন।