পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
ওই রাতে আউশগ্রামের গোপীনাথাবাটির বাসিন্দা অর্পণ গোস্বামী চারচাকা গাড়িটি নিয়ে বেরিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দ্বারিয়াপুরের অঞ্জন প্রামাণিক সহ চার বন্ধু। তাঁরা বড়দিনে আনন্দ করতে বেরিয়েছিলেন। গুসকরা শহর সহ আশপাশের এলাকা গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর কথা ছিল। হইহই করতে করতে মিউজিক বাজিয়ে গাড়ি মানকর-গুসকরা রোড ধরে শহরের দিকে ছুটছিল। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাড়িটি ধারাপাড়ায় একটি বেকারির দোকানে ধাক্কা মারে। ঘটনার দিন ভেদিয়ার বাসিন্দা কালীপ্রসাদ পাল(৩২) ও বেকারির মালিক বছর ২৫-এর শ্রীমন্ত দাসের মৃত্যু হয়। শ্রীমন্তর দাদা অনন্ত দাস, সঞ্জয় মণ্ডল, সুভাষ সাউ, সঞ্জীব পাল ও গাড়ির ভিতর থাকা অঞ্জন প্রামাণিক জখম হন। তাঁদের গুসকরা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। পরে তাঁদের বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। অঞ্জনকে দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয়বাবুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় পর তাঁকে কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিন সেখানেই তিনি মারা যান। তিনি নির্মাণ শ্রমিক সরবরাহের কাজ করতেন। বাড়িতে তাঁর বিধবা মা, স্ত্রী ও এক মেয়ে রয়েছে। এদিন গুসকরা পুরসভার চেয়ারম্যান কুশল মুখোপাধ্যায় মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেন তিনি।
দুর্ঘটনার মুহূর্তের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি ‘বর্তমান’। ভিডিওতে একজনকে চিৎকার করে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘অর্পণ তোর মেয়ে আছে..... ভাই এখনও আমার বিয়ে হয়নি।’ তারপরেই সব অন্ধকার। গাড়ির ভিতরে উদ্দাম গান বাজছিল। গাড়ির ভিতর থাকা কারও মোবাইলেই ওই ভিডিওটি তোলা হয়েছিল বলে প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ঘটনাস্থলের পাশে থাকা একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে। সেখানেও গাড়িটি উল্টে চরকির মতো পাক খেতে দেখা যায়। ভাইরাল ভিডিও দেখে সবাই শিউরে উঠছেন। বেপরোয়া গতিই জীবন কেড়ে নেয় মানুষের, তা এমন দৃশ্য দেখে সবাই বুঝতে পারছেন। তবুও কেউ সচেতন হচ্ছেন না।