পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
রবিবার বিকেলে মেমারি স্টেশনে ট্রেনে কাটা পড়ে বাঁকুড়ার খাতড়ার দুই মহিলার মৃত্যু হয়। হেঁটে রেললাইন পার হয়ে প্ল্যাটফর্মে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনার পরও বহু যাত্রী ফুটওভার ব্রিজের বদলে রেললাইনের উপর দিয়ে চলাচল করছেন। যাত্রীদের দাবি, স্টেশন চত্বরে থাকা ফুটওভার ব্রিজ দিয়ে অসুস্থ কিংবা বয়স্কদের পক্ষে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। যাত্রী প্রবীর দাস বলেন, ফুটওভার ব্রিজ থেকে প্ল্যাটফর্মে নামা দু’টি সিঁড়ির অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। সিঁড়ির কোনও কোনও ধাপে ঠিকমতো পা রাখা যায় না। ৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম পার করে ফুট ওভারব্রিজ থেকে নামার সিঁড়ি লোহার হওয়ায় ওঠানামা করতে সমস্যা হয়। দক্ষিণ দিকে ফুট ওভারব্রিজ এতটাই উঁচু যে বয়স্ক বা অসুস্থ যাত্রীরা তাতে উঠতে পারছেন না। যাত্রী অজিতকুমার বৈষ্ণব বলেন, আমি ক্রাচে ভর দিয়ে চলি। আমার স্ত্রী হার্টের সমস্যায় ভুগছে। দু’জনের পক্ষেই ফুট ওভারব্রিজে উঠে যাতায়াত করা সম্ভব নয়। অথচ এই গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনে এসকালেটর, লিফট কিংবা র্যাম্পের কোনও বন্দোবস্ত নেই।
রেললাইনের উপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করতে ১নম্বর প্ল্যাটফর্ম লাগোয়া টিকিট কাউন্টারের পাশের অংশ লোহার রেলিং দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে। তা সত্ত্বেও বহু যাত্রী তার উপর দিয়ে কিংবা নীচ দিয়ে চলাচল করছেন। যাত্রী রুনু মুখোপাধ্যায় বলেন, ফুট ওভারব্রিজ চওড়া হলে ভালো হতো। বয়স্কদের কথা ভেবে এসকালেটর করা হোক। এব্যাপারে পূর্বরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র বলেন, সচেতনতা বাড়াতে নিয়মিত প্রচার চালানো হচ্ছে। আরপিএফও নিষেধ করছে। তা সত্ত্বেও কিছু মানুষ অবৈধভাবে রেললাইন পারাপার করছেন। মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিয়ম মেনে ফুট ওভারব্রিজ হয়েছে। র্যাম্প ও এসকালেটরের দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যাত্রীরা দাবি জানালে গুরুত্ব দিয়ে খতিয়ে দেখা হবে।