পারিবারিক সম্পত্তি ভাগ-বাটোয়ারার প্রচেষ্টায় সাফল্য পাবেন। ব্যবসায় লগ্নি বৃদ্ধির সম্ভাবনা । শরীর একপ্রকার থাকবে। ... বিশদ
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, আগামী দিনে যাতে আর কেউ প্রতারকদের ফাঁদে পা না দেয়, তারজন্যই সচেতনতার বার্তা দেওয়া হচ্ছে। কেউ প্রতারকদের টাকা দিয়ে থাকলে তা আদায় করার জন্য থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। বর্ধমান শহরের তৃণমূল নেতা শিবু ঘোষ বলেন, প্রতারকদের ফাঁদে যারা পা দিয়েছে, তারা কোনও খবর রাখে না। দীর্ঘদিন ধরে দল করছি। কখনও কোনও প্রতারকের দ্বারা প্রাভাবিত হয়নি।
দলের আরেক নেতা বলেন, অভিযোগ না হওয়ায় কয়েকজন প্রতারক এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। তাদের এজন্টেরা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। সুযোগ পেলে তারা আবার নেতাদের থেকে টাকা হাতানোর চেষ্টা করবে। তাদের জালে যাতে কেউ না পা দেয় তারজন্য দল সতর্ক করছে।
তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, পদ পেতে হলে আগে সাংগঠনিক ক্ষমতা বাড়াতে হবে। এলাকায় গ্রহণযোগ্য হতে হবে। তাছাড়া প্রতারকদের কোটি টাকা দিলেও পদ পাওয়া যাবে না। যারা দলকে ভালোবাসে তারা কখনই প্রতারকদের ফাঁদে পা দেবে না।
তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারকরা শাসক দলের শীর্ষ নেতার ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করে টাকা হাতিয়েছে। একটি সমীক্ষক সংস্থার শীর্ষ আধিকারিকের ঘনিষ্ঠ বলেও তারা প্রচার করত। কিন্তু, সে অর্থে তদের কারও সঙ্গেই প্রতারকদের সম্পর্ক ছিল না। তারা মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে টাকা হাতিয়েছে। দলের এক নেতা বলেন, প্রতারকরা বিভিন্ন অছিলায় টাকা হাতিয়েছে। আমার কাছ থেকে ওরা দু’লক্ষ টাকা নিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটে প্রমাণ রয়েছে। কয়েকজন আবার নিজেদের সমীক্ষক সংস্থার কর্মীদের ঘনিষ্ঠ বলে দাবি করত। তদের কারও কারও সঙ্গে তারা নিজেদের প্রয়োজনে যোগাযোগ রাখত। সেই সুযোগটাই তারা কাজে লাগাত। প্রতারকদের প্রত্যেককেই গ্রেপ্তার করা উচিত। তারা দলের ভাবমূর্তিও ক্ষতি করেছে। বর্ধমানে কয়েকজন তাদের এজেন্টের কাজ করেছে। তারা নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রতারকদের কাছে নিয়ে যেত। তার বিনিময়ে তারা মোটা টাকা কমিশন পেত। এক পুলিস আধিকারিক বলেন, লিখিত অভিযোগ হলে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা
নেওয়া হবে।