চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
এব্যাপারে বিজেপির সাংসদ সৌমিত্র খাঁকে সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিরা প্রশ্ন করায় তিনি বিব্রত বোধ করেন। দলীয় পার্টি অফিসে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি দায় এড়াতে রাজ্য প্রশাসনের উপর দোষ চাপান। তিনি বলেন, আন্ডারপাসের জন্য রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে রেলকে চিঠি লিখতে হবে। কিন্তু তারা তা দিচ্ছে না। সেজন্যই আন্ডারপাসের কাজ আটকে রয়েছে। যদিও এব্যাপারে বিষ্ণুপুরের মহকুমা শাসক প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, লেভেল ক্রসিং তুলে দিয়ে রেল বহু জায়গায় আন্ডারপাস তৈরি করছে। সেটা সম্পূর্ণ রেলের বিষয়। এক্ষেত্রে প্রশাসনের কোনও ভুমিকা আছে বলে আমার মনে হয় না।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে বিষ্ণুপুর শহরে দক্ষিণ ফটকে লেভেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়া হয়। তাতেই ফাঁপরে পড়েন রেল লাইনের পশ্চিমপ্রান্তের বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা। অবিলম্বে আন্ডারপাসের দাবিতে তাঁরা একাধিকবার আন্দোলনেও নামেন। রেল দপ্তরকে একাধিকবার চিঠিও দেন। লোকসভা ভোটের আগে সৌমিত্র খাঁ আন্ডারপাস তৈরির ব্যাপারে বাসিন্দাদের আশ্বাস দেন। কিন্তু তারপর ১০ মাস পেরিয়ে গিয়েছে। আন্ডারপাস তৈরির কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। বাসিন্দারা ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইন পারাপার করছেন। বিশেষ করে রেলের পশ্চিম দিকের একাধিক গ্রামের ছাত্রছাত্রীরা শহরের যমুনাদাস খেমকা হাইস্কুলে পড়াশুনা করে। তাদের রেললাইন অতিক্রম করে পূর্ব প্রান্তে আসতে হয়। লেভেল ক্রসিং বন্ধ করে দেওয়ায় ওভারব্রিজ দিয়ে অনেক ঘুরপথে যাতায়াত করতে হয়। সেজন্য অধিকাংশ ছাত্রছাত্রী ঝুঁকি নিয়ে রেল লাইনের উপর দিয়েই যাতায়াত করছে। তবে অনেক সময়েই মালগাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। তারা মালগাড়ির তলা দিয়ে যাতায়াত করে। একাধিক ছাত্রীর মালগাড়ির তলা দিয়ে যাতায়াতের ছবি সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল হতেই শনিবার এনিয়ে রেল এবং বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় ওঠে।