চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
যুবতী জানিয়েছেন, মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলাম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা ছাড়া বাড়ি ফেরা অসম্ভব ছিল। প্রশাসনের আধিকারিকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। খুব তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরতে চেয়েছিলাম।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০২৩ সালের শুরুর দিকে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে মেদিনীপুর শহরের বাসিন্দা এক যুবকের সঙ্গে পরিচয় হয় বাংলাদেশের যুবতীর। ধীরে ধীরে তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর প্রেমের টানে যুবতী মেদিনীপুর শহরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। সেই মতো ভারত সরকারের কাছে ভিসার জন্য আবেদন করেন তিনি। বেশকিছু দিনের মধ্যে ভিসাও পেয়ে যান যুবতী। এরপর ২০২৩ সালের জুলাই মাসে তিনি মেদিনীপুর শহরে চলে আসেন। এরপর শহরের এক যুবকের সঙ্গে থাকতে শুরু করেছিলেন। কিন্তু যুবতী কিছুমাস পর জানতে পারেন ওই যুবক আগে থেকেই বিবাহিত। এই কথা জানতে পেরেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন যুবতী। কারণ প্রেমে ধোঁকা খাওয়ার পাশাপাশি তাঁর ভিসাও শেষ হয়ে যায়। তবে নুরজাহান সময় নষ্ট না করেই স্থানীয় থানায় বিষয়টি জানান। কোতোয়ালি থানার পুলিসের তরফে দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেওয়া হয়। এবছর ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রশাসনের নির্দেশে ওয়ান স্টপ সেন্টারের মাধ্যমে তাঁকে হোমে রাখা হয়। পুলিস ও প্রশাসন তদন্ত প্রক্রিয়া শুরু করেন। একইসঙ্গে ভিসার শেষ হয়ে যাওয়ার দরুণ যুবতীর ফাইনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫০ হাজার টাকা। কিন্তু যুবতী সেই টাকা দিতে পারবেন না বলেই জানিয়ে দেন। কারণ যুবতীর পারিবারিক আর্থিক পরিকাঠামো ভালো নয়। এরপর পুলিস প্রশাসনের তরফে যুবতীকে দেশে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়। অবশেষে যুবতীকে পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হল।
যুবতীর মা রহিমা বিবি প্রশাসনের আধিকারিকদের জানিয়েছেন, খুব খুশি মেয়েকে পেয়ে। এক সময় খুবই ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। জেলা প্রশাসনের সহযোগিতা থাকায় আমার মেয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরল।