প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
যদিও শহরে শব্দবাজির দাপট কিছুটা রয়েছে। নবদ্বীপ থানার পুলিসও শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে। শব্দবাজি বিক্রির অভিযোগে এক ব্যবসায়ীকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছে।
বিভিন্ন বিস্ফোরণের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারিভাবে বাজির উপর নিয়ন্ত্রণ আনা হয়েছে। ৯৫ ডেসিবেলের কম শব্দের বাজিই শুধু ফাটানো যাবে। তাই প্রকাশ্যে শব্দবাজি বিক্রি প্রায় বন্ধই হয়ে গিয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ী আড়ালে এই কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। পুলিস মাঝেমধ্যে শহরের বিভিন্ন বাজারে শব্দবাজির বিরুদ্ধে অভিযান চালায়। কিন্তু তাতে শব্দবাজি বিক্রিতে পুরোপুরি রাশ টানা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার নবদ্বীপের বিভিন্ন বাজারে আতশবাজি বিক্রি হতে দেখা গেল। শহরের বকুলতলা স্কুলের ক্লাস ফাইভের ছাত্র রোহিত সাহা বলল, তারাবাতি, চড়কি, রংমশাল, রকেট কিনে নিয়ে যাচ্ছি। শব্দবাজি আমার নিজেরই ভালো লাগে না।
আলোছায়া রোডের বাজি বিক্রেতা রাজকুমার সাহা বলেন, আগে আতশবাজিতে বেশি দূষণ হতো। তৈরির পর অনেকের হাত ঘুরে আমাদের মতো রিটেলারদের কাছে আসত। কোনও পরীক্ষা-নিরীক্ষার ব্যবস্থা ছিল না। এখন রাজ্য সরকার একটা সংস্থার মাধ্যমে পরীক্ষা করে দূষণ কমাচ্ছে। ফলে আতশবাজির কারণে যে দূষণ হতো, তা অনেকটা কমিয়ে আনা গিয়েছে। আগে বাচ্চারা যে তারাবাতি জ্বালাত, তার ধোঁয়া ক্ষতি করত। এখন তারাবাতি থেকে তেমন ক্ষতির সম্ভাবনা থাকছে না। আগে চীনের বাজিতে বাজার ছেয়ে থাকত। সেগুলি খুব দূষণ ছড়াত। পুলিসি অভিযানে তাও এখন কমেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে নবদ্বীপের রাজারবাজারে পুলিস অভিযান চালায়। নিষিদ্ধ বাজি বিক্রির অভিযোগে কাশীনাথ সাহা নামে এক বাজি বিক্রেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার কাছ থেকে কয়েকহাজার টাকার শব্দবাজি উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিস জানিয়েছে।