প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
আলোর উৎসবে মোমবাতি, টুনি আর চাইনিজ আলোর দাপটে কয়েক দশক মাটির প্রদীপ হারিয়ে গিয়েছিল। দীপাম্বিতার রাতে গ্রামে মাটির প্রদীপের চল কিছুটা থাকলেও শহর, আধা শহর এলাকায় মাটির প্রদীপ কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছিল। তবে এবার মাটির প্রদীপের শিখায় বাকি সব আলোয় ফিকে হয়ে উঠেছে। কালীপুজোর অমাবস্যার রাত মাটির প্রদীপের আলোয় উজ্জ্বল হয়ে ওঠে।
বহু গৃহস্ত পরিবারে চোদ্দ প্রদীপ জ্বালানোর রেওয়াজ রয়েছে। এবার সেই সব পরিবার ৫০-১০০ প্রদীপ কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। সঙ্গে দেদার বিকোচ্ছে সলতে আর সরষের তেলের শিশি। বহরমপুর নিমতলা এলাকার এক মাটির সরঞ্জাম বিক্রেতা বলেন, বুধবার থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত তিন বস্তা মাটির প্রদীপ বিক্রি করেছি। প্রদীপের চাহিদা এত বাড়বে আশা করিনি। দশকর্মার দোকানদার বিভাস ঘোষ বলেন, রঙিন নকশা দেওয়া প্রদীপের চল গত বছর থেকেই বেড়েছে। এবার নকশা প্রদীপের অর্ডার বেশি দিয়েছিলাম। ভাঙাচোরা দু’-একটি বাদে একটিও পড়ে নেই। আরও থাকলে বিক্রি হতো।
বিক্রেতাদের পাশাপাশি মৃৎশিল্পীদের মুখেও হাসি ফুটেছে। বহরমপুর থানার বালিরঘাট পালপাড়ার মৃৎশিল্পী কার্তিক পাল বলেন, এবার প্রদীপের অর্ডার এত বেশি ছিল যে অন্য কাজে হাত দেওয়ার ফুরসত পাইনি। নিম্নচাপের ধাক্কায় শেষ মূহূর্তে প্রদীপ শুকোতে বেশ কষ্ট পেতে হয়েছিল। বহু বায়না ফিরিয়ে দিতে হয়েছে। কার্তিকবাবুর দাবি, প্রদীপের পাশাপাশি সম্প্রতি মাটির ভাঁড়ের চাহিদাও বেড়েছে। প্লাস্টিক বর্জন করতে শুরু করেছে মানুষ। বিভিন্ন সাইজের পঞ্চাশটি প্রদীপ কিনেছেন মালতি মণ্ডল। মালতিদেবী বলেন, প্রদীপের আলোর মাধুর্যই আলাদা। এবার বাতাস কম। গভীর রাত পর্যন্ত প্রদীপ জ্বালিয়ে রাখা যাবে।