প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
মন্দারমণি কোস্টাল থানা শ্যামাপুজো কমিটির উদ্যোগে কালীপুজোর উদ্বোধন করেন ডিএসপি (ডি অ্যান্ড টি) আবু নুর হোসেন। তিনি পুজোর উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে সৌহার্দ্যের বার্তা দেন। উপস্থিত ছিলেন সিআই শুদ্ধসত্ত্ব দাস, ওসি অরিজিৎ চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ। বৃহস্পতিবার থানার পক্ষ থেকে দুঃস্থ মানুষজন ও বৃদ্ধাশ্রমের আবাসিকদের বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
একইভাবে এগরা, পটাশপুর, ভগবানপুর, মারিশদা, ভূপতিনগর, খেজুরি, জুনপুট কোস্টাল, তালপাটিঘাট কোস্টাল থানা, হেঁড়িয়া পুলিস ফাঁড়ি সর্বত্রই কালীর আরাধনা শুরু হয়েছে। থানাগুলিতে কেন কালীপুজো হয়? এনিয়ে নানা জনের নানা মত রয়েছে। পুলিস মহলের একাংশের বক্তব্য, আগেকার দিনে ডাকাতরা ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর আরাধনা করত তাদের কাজে সফল হওয়ার জন্য। সেই সময় ডাকাত দমনে যাতে পুলিসও সফল হয়, তার জন্য থানাতেও কালীপুজো শুরু হয়। তবে পণ্ডিতদের মত ভিন্ন। শাস্ত্রবিদ ও প্রাবন্ধিক চৈতন্যময় নন্দের মতে, মা কালীর একহাতে থাকে অভয় মুদ্রা ও আর একহাতে বর মুদ্রা। অর্থাৎ সন্তানদের অভয় দান করেন এবং সুখে থাকার বর দান করেন। অন্য দু’টি হাতে খড়্গ ও কাটা মুণ্ড। অর্থাৎ অশুভ শক্তির বিনাশকারী এবং শত্রু নিধনকারী। মা কালী দু’হাতে দুষ্টের দমন ও দু’হাতে শিষ্টের পালন করেন। পুলিসও সেই কাজ করে। সাধারণ মানুষ যাতে ভালো থাকেন, তার জন্য আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখে। আর দুষ্কৃতীদের কড়া হাতে মোকাবিলা করে। এর জন্যই নাকি পুলিসের আরাধ্যা দেবী মা কালী। সকাল, দুপুর, বিকেল, রাত পুলিসের ডিউটি। সেই সময়কাল নিয়ন্ত্রণ করেন মা‘ই। বিতর্ক যাই থাক, থানাগুলিতে ধুমধাম করেই কালীপুজো হয়।