প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
শুক বাঁধানি আচার সম্পর্কে জানালেন দাসপুর থানার ইসবপুর গ্রামের বাসিন্দা নির্মল বেরা। তিনি বলেন, ভাইফোঁটার ভোরে আকাশের শুকতারাকে প্রণাম জানিয়ে এই আচার শুরু হয়। বাড়ির বয়স্ক মহিলারা তুলসী মঞ্চের সামনে ২১টি বর্গাকার ঘর কাটেন। তা তেল, মশলা, চাল, ডাল ও সুপারি দিয়ে পূর্ণ করতে হয়। শুকদেবতার নামে এই পূজায় অবিবাহিত যুবক এবং গৃহপালিত গোরুকে বরণ করা হয়। গোরুকে দেবী ভগবতী হিসেবে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরিবারের সদস্যরা গোরুর পা ধুইয়ে প্রণাম করেন। কিন্তু এখন এই আচারটি বিলুপ্তির পথে।
ভাইফোঁটার ভোরে ধা-রে-মশা-ধা আচারও এখন হারিয়ে যেতে বসেছে। শুক বাঁধানির পর গ্রামগঞ্জের বালিকারা এই মজার উৎসবে অংশ নিত। পাটের খড়ি বা পাটকাঠি জ্বালিয়ে তারা গ্রামের অলিগলি দিয়ে দৌড়তে দৌড়তে গান গাইত, ‘ধা রে মশা ধা, নলের বনে যা…’। এর মাধ্যমে গ্রামের ছোটরা শীতের আগমনী বার্তা দিয়ে মশাকে বিদায় জানাত। ঘাটাল থানার নিশ্চিন্দিপুরের বাসিন্দা মলয় দাস বলেন, আধুনিক প্রযুক্তির প্রভাবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা এই উৎসবে আর অংশ নিতে চায় না। ফলে এই আচারটিও এখন বিলুপ্তির পথে।