প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পূর্বস্থলী-২ ব্লকের মেড়তলা পঞ্চায়েতের ভট্টাচার্য পরিবারের কালীপুজোয় ভোগের বৈচিত্র্য এমনই। এখানে দেবী জাদোয়া মা নামে পরিচিত। প্রায় সাড়ে চারশো বছরের প্রাচীন এই পুজো শুরু হয়েছিল রাজারাম তর্কবাগীশের বড় ছেলে কালীশঙ্কর তর্ক চূড়ামণির হাত ধরে। তিনি ছিলেন তন্ত্রসাধক। তিনিই জাদোয়া মাকে প্রতিষ্ঠা করেন। পুজো ঘিরে নানা ইতিহাস রয়েছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, একসময় নাকি নবাব আলিবর্দি খাঁ জাদোয়া মাকে চুরি করে নিয়ে গিয়েছে। পরে আবার মাকে ফেরতও পেয়েছিলেন। তারপর থেকে মাকে তিনবার চুরি গিয়েও আবার ফেরত পেয়েছে ভট্টাচার্য পরিবার। দেবীর পুজোর জন্য রয়েছে পরিবারের আলাদা মন্দির। তবে পরিবারের সদস্যরা মন্দির না বলে মায়ের ঘর বলেন। সেখানে রয়েছে দু’টি মূর্তি। একটি ‘বড় মা’, অন্যটি ‘ছোট মা’। পুজো পরিচালনা করেন পরিবারের ট্রাস্টি বোর্ড। ভট্টাচার্য পরিবারের সদস্যরা জানান, প্রাচীন রীতিনীতি মেনেই পুজো হয়। পুজোর দিন সকালে প্রথমে দেবীকে দেওয়া হয় কারণ, সর্ষের তেলে ভাজা মাছ, পেঁয়াজ। রাতে বিশেষ পুজোর সময়েও ভোগে ব্যবহার করা হয় এগুলি। এ ছাড়া গুগলি, কাঁকড়া দিয়েও ভোগ রান্না করা হয়। এদিন ভোর পর্যন্ত পুজো চলেছে জাদোয়া মায়ের। পরিবারের সবাই দেবীর প্রসাদ খেয়ে উপবাস ভাঙেন।