প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুজোর মরশুমে বিশেষ করে কালীপুজোর রাতে শব্দদানবের অত্যাচারে টেকা দায়। বয়স্ক, অসুস্থ, শিশু, পোষ্যদের তোয়াক্কা না করেই শব্দবাজি ফাটিয়ে চলে বেপরোয়া উল্লাস। বছর দুয়েক আগে পর্যন্ত এ দৃশ্য ছিল সর্বত্র। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট নিষেধাজ্ঞা জারি করতেই শব্দবাজি বিক্রি বা পোড়ানো অনেকটাই কমে এসেছে। যদিও কেউ কেউ ঝাড়খণ্ড থেকে শব্দবাজি নিয়ে এসে বিক্রি করছেন। যদিও খবর মিলতেই পুলিস পদক্ষেপ করছে। দিন দুয়েক আগে সিউড়িতে অভিযানে নেমে প্রচুর শব্দবাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। প্রতিবারের মতো এবারও নিষিদ্ধ শব্দবাজি ব্যবহার নিয়ে পুজো উদ্যোক্তাদের সতর্ক করেছে পুলিস। সেই সঙ্গে বেআইনি শব্দবাজি পোড়ালে জেল ও জরিমানা হতে পারে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। তাই পুলিসের পক্ষ থেকে বলে হচ্ছে, দীপাবলি আলোর উৎসব, শব্দের নয়। তাই গ্রিন বাজি ব্যবহার করুন।
নিষিদ্ধ শব্দবাজি শুধু পরিবেশ নয়, শব্দদূষণও করে। তাই নিষিদ্ধ শব্দবাজি বন্ধ করতে দুর্গাপুজোর আগে থেকেই কঠোর হয়েছে পুলিস। এলাকার অবৈধ বাজি কারখানাগুলির যেমন খোঁজ শুরু করেছিল, ঠিক তেমনি ভিন রাজ্য বা জেলা থেকে প্রবেশ রুখতে কড়া নজরদারিতে নেমেছে পুলিস। কার্যত চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল পুলিস প্রশাসন। কিন্তু মহালয়ার ভোরে বিক্ষিপ্তভাবে হলেও নলহাটি, মুরারই, পাইকর, রামপুরহাট, ময়ূরেশ্বর, মল্লারপুর শব্দবাজির দাপট দেখা গিয়েছে। তবে তা অন্যান্য বারের তুলনায় কিছুটা নিয়ন্ত্রিত। সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে কালীপুজোর সময় আরও কড়া হয়েছে পুলিস। বিভিন্ন বাজারে সাদা পোশাকেও নজরদারি চালাচ্ছে তাঁরা। নিষিদ্ধ বাজি রুখতে ঝাড়খণ্ড সীমানাগুলিতেও নাকা চেকিং শুরু করেছে পুলিস।
লাইসেন্স নিয়ে রামপুরহাট পুরসভার মাঠে গ্রিন বাজি বিক্রি শুরু করেছেন পাঁচজন ব্যবসায়ী। তবে দুর্গাপুজোর সময় অনেকেই আড়ালে শব্দবাজি বিক্রি করায় বিক্রিবাট্টা সেভাবে হয়নি তাঁদের। তবে সেই ক্ষতি পুষিয়ে দিচ্ছে কালীপুজো। তাপস গুপ্ত নামে এক বিক্রেতা বলেন, দুর্গাপুজোয় সেভাবে বিক্রি না হলেও এবার কালীপুজোয় ভালোই বিক্রি হচ্ছে। নিষিদ্ধ বাজির বিরুদ্ধে পুলিস কঠোর হতেই গ্রিন বাজি বিক্রিতে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। রংমশাল, বিভিন্ন আকারের তুবড়ি বেশি বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া রয়েছে নানা গ্রিন বাজি।
পুলিসের এক অফিসার বলেন, নাগরিকদের জীবনের অধিকার রক্ষা করার জন্য শব্দবাজিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মানুষও সচেতন হচ্ছেন। তাঁরই সুফল কুড়োচ্ছেন গ্রিন বাজি বিক্রেতারা।