চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
সম্প্রতি উন্নয়ন পর্ষদের মধ্যস্থতায় দীঘার সমস্ত হোটেল-লজ মালিকদের নিয়ে একটি বৈঠক হয়। সেখানে হোটেল-লজ মালিক তথা কর্তৃপক্ষকে রুম ভাড়া এবং পরিষেবা নিয়ে বিশেষভাবে সতর্ক করে দেওয়া হয়। রুম ভাড়ার তালিকা হোটেল-লজের সামনে টাঙানোর কথা বলা হয়েছে, যাতে পর্যটকরা ভাড়া সম্পর্কে অবগত হন এবং অভিযোগ তোলার সুযোগ না পান। এমনকী সেই তালিকা উন্নয়ন পর্ষদের অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। রুম ভাড়া নেওয়ার প্রবণতা কমাতে এই পদক্ষেপ বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে। ঘটনা হল, ভিড়ের সময় পর্যটকরা রুম বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করলে ‘রুম নেই’ বলে কৃত্রিম সঙ্কট তৈরি করা হয়। পর্যটকরা যখন কোথাও না পেয়ে ফিরে আসেন, তখন তাঁদের বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়ায় রুম নিতে হয়। পর্যটকরা অনেক সময় তিক্ত অভিজ্ঞতা নিয়ে ফেরেন, এরকম নজির বহু রয়েছে। তাছাড়া কয়েক বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দীঘা সফরে এসে হোটেল-লজের অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তিনি এবিষয়ে জেলা প্রশাসনকে টাস্ক ফোর্স গঠন করার নির্দেশ দেন। পরবর্তীকালে টাস্ক ফোর্স গঠন হলেও কাজের কাজ সেভাবে কিছুই হয়নি। অতিরিক্ত রুম ভাড়া নেওয়ার অভিযোগ মাঝেমধ্যেই উঠে আসে।
দীঘা-শঙ্করপুর হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চক্রবর্তী বলেন, ভাড়া নিয়ে পর্যটকরা মাঝেমধ্যেই অভিযোগ জানান। তখন হোটেল মালিকদের সতর্ক করে দেওয়া হয়। তবে আমরা নজর রাখছি। কোনও অভিযোগ এলে বরদাস্ত করা হবে না। হোটেল-লজ কর্তৃপক্ষকে উন্নত পরিষেবা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। উন্নয়ন পর্ষদের মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক তথা কাঁথির মহকুমা শাসক সৌভিক ভট্টাচার্য বলেন, ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ এলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।