চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
সামশেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলাম বলেন, বাড়িগুলি মানুষের মাথা গোঁজার আশ্রয় ছিল। কয়েক মুহূর্তে সে আশ্রয়টুকু তলিয়ে যায়। এটা যেন অকল্পনীয়। সামশেরগঞ্জ কিছু এলাকা মানচিত্র থেকে প্রায় মুছে যেতে বসেছে। এই অসহায় পরিস্থিতিতে আমরা সাধারণ মানুষের পাশে রয়েছি। সাধ্যমতো সাহায্য করছি। কিছু খাবার ও ত্রিপল তুলে দিয়েছি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত তখন প্রায় ১১টা। গ্রামের অধিকাংশ মানুষ দু’চোখের পাতা এক করেছে। এমন সময় আচমকাই প্রতাপগঞ্জে ভাঙন শুরু হয়। নদীগর্ভে একের পর এক বাড়িঘর তলিয়ে যায়। পাঁচটি মাটির কাঁচাবাড়ি ও আরও পাঁচটি একতলা পাকাবাড়ি নদীতে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে। কোনওক্রমে প্রাণ হাতে করে ঘর থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে মানুষ। আসবাবপত্র কিছুই সরানোর অবকাশ পাননি তাঁরা। নিমেষেই ঘরের খাট, বিছানা, আলমারি, প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নদীতে তলিয়ে যায়। চোখের সামনে নিজের মাথা গোঁজার আশ্রয় টুকু নদী গর্ভে তলিয়ে যেতে দেখে কার্যত কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় গ্রামবাসী। এলাকাজুড়েও রীতিমতো কান্নার রোল পড়ে যায়। আতঙ্কে ছোটাছুটি শুরু করেন অনেকে। কোথায় যাবেন, কী করবেন কিছুই যেন বুঝে উঠতে পারছেন না ভুক্তভোগীরা। ভাঙনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে সামসেরগঞ্জ থানার পুলিস। গৃহবধূ রমিশা বিবি বলেন, ছোট বাচ্চা নিয়ে ঘরে শুয়ে ছিলাম। কোনওক্রমে ঘর থেকে বেরিয়ে এসেছি। গ্রামের লোকজন এসে বয়স্ক ও মহিলাদের বাইরে বের করে নিয়ে যায়। ঘরের কোনও কিছুই তো রক্ষা করতে পারিনি। সবই নদীতে চলে গিয়েছে। ছোট ছেলে নিয়ে কোথায় যাব? সরকার আমাদের থাকার ঘর দিক। জায়গা কিনে আমাদের ঘর করার ক্ষমতা নেই।