চিকিৎসাশাস্ত্রের অধ্যয়নে বিশেষ উন্নতি ও সাফল্যের যোগ। কর্মস্থল পরিবর্তন ও উপার্জন বৃদ্ধির সম্ভাবনা। মনে অস্থিরতা। ... বিশদ
পানীয় জলের সঙ্কট মেটানোর কাজে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে নদীয়া জেলায়। উৎসবের আবহেও জোরকদমে জেলায় চলছে কাজ। পানীয় জলের পাইপ যাওয়ার সময় রাস্তা কাটা নিয়ে ক্ষোভ ছিল কিছু এলাকায়। সেই ক্ষোভ মিটিয়ে গতি এসেছে কাজে। এই মুহূর্তে জল জীবন মিশনে রাজ্যে প্রথম নদীয়া। এই জেলার প্রায় ১০ লক্ষ ৩০ হাজার বাড়িতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের পক্ষ থেকে বাড়ি বাড়ি ট্যাপ কানেকশন পৌঁছে দেওয়া গেছে। এই বিশাল কর্মকাণ্ডে কাজের ক্ষেত্রে জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গ্রামীণ এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৯৫০০ কিলোমিটার রাস্তা, যেগুলি পূর্তদপ্তর পঞ্চায়েত সমিতি এবং গ্রাম পঞ্চাতের আওতাধীন। এই রাস্তা ভাঙা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ থাকলেও পূর্ব নির্ধারিতভাবে সেগুলো মেরামতির কাজ খুব দ্রুত গতিতে চালাচ্ছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের ঠিকা শ্রমিকরা। গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীন সমস্ত ঢালাই রাস্তা নিজেরাই মেরামত করে দিচ্ছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। এ ছাড়াও ১৫০ কিলোমিটার ব্ল্যাক পিচ রাস্তার মেরামতির জন্য পিডব্লুডি হাইওয়ে ডিভিশন ও ওয়েস্ট বেঙ্গল এসআরডিএ সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে ইতিমধ্যে ১১ কোটি টাকারও বেশি দেওয়া হচ্ছে বলে জনস্বাস্থ্য দপ্তর সূত্রে খবর। সেই টাকা রাস্তা মেরামতির কাজে লাগানো হবে।
প্রসঙ্গত ২০২৫ সালের মধ্যে জল জীবন মিশনের কাজ শেষ করার লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তর। দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, পাইপ লাইনের কাজ করার সময় গ্রামীণ যে সমস্ত রাস্তা ভাঙা হয়েছে, সেগুলো মেরামতের কাজ চলছে জোরকদমে এবং দুর্গাপুজোর আগে সেই কাজ প্রায় শেষের পথে।
এবিষয়ে নদীয়া জেলা পরিষদের সভাধিপতি তারান্নুমা মীর জানান, রাস্তা কাটা নিয়ে যে অভিযোগ বারবার উঠছিল, সেটা অনেকটাই মিটে গেছে। দপ্তরকে আমরা অনুরোধ করেছিলাম, এটা যেন পুজোর আগে করা যায়। কাজটা হওয়ায় জেলার সর্বস্তরের মানুষ খুশি। জেলার উন্নয়নের ক্ষেত্রে মানুষকেও একটু ধৈর্য্য রাখতে হবে। জেলার প্রতিটি ব্লকে খুব দ্রুত কাজ চলছে। আশা করি, পুজোর আগেই শেষ হবে।