বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নবগ্রামের তৃণমূল বিধায়ক তথা কিরীটেশ্বরী কালি মন্দির উন্নয়ন কমিটির সভাপতি কানাই চন্দ্র মণ্ডল বলেন, সেরা পর্যটন গ্রামের তকমা পাওয়ার পর এই গ্রামের অনেক কাজ করা হচ্ছে। পর্যটকদের থাকার জন্য গেস্টহাউস করা হচ্ছে। সাংসদ তহবিলের টাকায় বেশ কিছু উন্নয়নমূলক কাজ করা হয়েছে। জলের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জাতীয় সড়ক থেকে যে রাস্তাটি মন্দির পর্যন্ত পৌঁছেছে, সেটি পূর্তদপ্তর অধিগ্রহণ করেছে। রাস্তা পরিষ্কার করে রাস্তার মানোন্নয়ন করা হচ্ছে। মন্দির চত্বরে সোলার লাইট ও পাম্প লাগানো হয়েছে। রাজ্য সরকার ১৬ লক্ষ টাকা দিয়ে ওখানকার ভগ্নপ্রায় একটি শিব মন্দির ঠিক করছে। এই এলাকায় একটি মার্কেট কমপ্লেক্স করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই বিখ্যাত মন্দিরের দিক নির্দেশের জন্য চারদিকে রাস্তার উপরে গেট লাগানো হবে। বিধায়কেরও দাবি ব্রিজের। তিনি বলেন, ভাগীরথীর উপরে একটি ব্রিজ দরকার। তাহলে এই দু’টি পর্যটন কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নতি হলে আরও ভালো হবে। আজিমগঞ্জ ও লালবাগের মধ্যবর্তী এলাকায় যদি একটি ব্রিজ করা যায় সেটা ভাবতে হবে। আমি বিধানসভায় এই বিষয়ে উত্থাপন করেছি। কেন্দ্র সরকারের কাছেও প্রস্তাব দেব।
মুর্শিদাবাদ হেরিটেজ এণ্ড কালচারাল ডেভলপমেন্ট সোসাইটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে আমরা ঘুরে তিনটি জায়গা বেছে নিয়েছিলাম। তারমধ্যে বড়নগর শ্রেষ্ঠ হয়েছে। কিরীটেশ্বরী যেমন গতবার কাগজে কলমে জানতে পারছে মানুষ। এটা ভালো কথা। কিন্তু পর্যটক যে আসবে, তার জন্য তো পর্যটকদের থাকার ব্যবস্থা করতে হবে। হোম স্টে বাড়াতে হবে। আরও ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য ভাগীরথীর উপরে লালবাগে নদীপথে ব্রিজ দরকার। তাহলে এই দুটি জায়গার গ্রহণযোগ্যতা বাড়বে। পরিকল্পনা নিতে হবে। কেন্দ্র ও রাজ্য উভয় সরকারকে এগিয়ে আসতে হবে।
বড়নগরের স্থানীয় বাসিন্দা গোকুল ঘোষ বলেন, আমাদের গ্রামে এবং গোটা জেলায় যেভাবে বেকার সমস্যা বাড়ছে, তাতে এই পর্যটন গ্রামের উন্নতি হলে এখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করে যুবক যুবতীদের কিছুটা সুরাহা হবে। এখন যদি গ্রামের আরও উন্নতি হয় তাহলে তাদের সুবিধা হবে। জীবিকা নির্বাহ করতে আর বাইরে যেতে হবে না।