বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, পুরুলিয়া জেলার লোকপ্রসার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির জন্য ২০১৬ সালে শেষবার অডিশন নেওয়া হয়। ওই বছরের পর নতুন করে আর কোনও লোকশিল্পীকে এই প্রকল্পের আওতায় আনা হয়নি। দীর্ঘদিন ধরে ফের লোকপ্রসার প্রকল্পের নাম অন্তর্ভুক্ত করার জন্য প্রক্রিয়া শুরু করার দাবি ছিল জেলার লোকশিল্পীদের। আরও জানা গিয়েছে, সম্প্রতি ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে ফোন করে লোকশিল্পীরা নিজেদের অভিযোগের কথা জানান। তারপরই নড়েচড়ে বসে তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর। নতুন করে লোকপ্রসার প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্ত করার প্রক্রিয়া শুরু হয়। আরও জানা গিয়েছে, ডিস্ট্রিক্ট ফোক আইডেন্টিটি কার্ড ইস্যু কমিটির চেয়ারম্যান রয়েছেন জেলাশাসক। ওই কমিটির আহ্বায়ক সদস্য রয়েছেন জেলা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক। এছাড়া ওই কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন জেলার মন্ত্রী, মহকুমা তথ্য সংস্কৃতি আধিকারিক, এসটিএসসি কর্পোরেশনের জেলার ম্যানেজার, পুরুলিয়া জেলা পরিষদের সেক্রেটারি এবং তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের নোডাল অফিসারের দায়িত্ব থাকা জেলার একজন অতিরিক্ত জেলাশাসক। দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোকপ্রসার প্রকল্পে নাম অন্তর্ভুক্তির জন্য ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’র নম্বরে ইতিমধ্যে ফোন করেছেন জেলার প্রায় ৬০০০ জন। তার মধ্যে ২০২৩ সালে একবার অডিশন হয়। তাতে ৪৯ জনের নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ধাপের অডিশনে আরও ৪৫০ জন পাস করেন। গোটা অডিশন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা বজায় রাখার জন্য পুরুলিয়া জেলার পরিবর্তে পার্শ্ববর্তী জেলার বিশিষ্ট শিল্পীদের বিচারক হিসেবে রাখা হয়। তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, লোকপ্রসার প্রকল্পে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে ভাতা দেওয়া হয় প্রতি মাসে ১ হাজার টাকা, এছাড়াও পেনশন দেওয়া হয় এক হাজার টাকা এবং কোনও সরকারি অনুষ্ঠান করলে অনুষ্ঠান পিছু প্রত্যেক শিল্পীকে এক হাজার টাকা করে অতিরিক্ত দেওয়া হয়। সেটা সরাসরি ওই শিল্পী ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠায় দপ্তর।
পুরুলিয়া জেলার তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক জানান, পুরুলিয়া জেলায় বর্তমানে ২১ হাজার ৪৮৯ জন শিল্পী লোকপ্রসার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন। পুজোর আগে আরও ৪৪৯ জন নতুন শিল্পী এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। ‘সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী’তে যাঁরা লোকপ্রসার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে জানিয়েছিলেন, তাঁদেরকে নির্দিষ্ট সময়ে ডেকে অডিশন নেওয়া হয়। তারপর এই নাম অন্তর্ভুক্ত হয় বলে জানান জেলা তথ্য ও সংস্কৃতি আধিকারিক।