বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
সোনামুখী পুরসভার চেয়ারম্যান সন্তোষ মুখোপাধ্যায় বলেন, পুরসভা অফিসের উল্টো দিকে নালা থেকে দু’টি ভ্রূণ উদ্ধার হয়। লাগোয়া একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভ্রূণ দু’টি ফেলার অভিযোগ উঠেছে। মালিককে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় ক্লিনিক্যাল এস্টাব্লিসমেন্ট আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
সোনামুখীর বিএমওএইচ শিবায়ন মণ্ডল বলেন, ভ্রূণ দু’টিকে ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এব্যাপারে নির্দিষ্ট কোনও নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পাইনি। পুলিসি তদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে পুরসভা অফিসের উল্টো দিকে নিকাশি নালার মধ্যে দু’টি ভ্রূণ পড়ে থাকতে দেখা যায়। স্থানীয় এক ব্যক্তি নার্সিংহোমেরই একজনকে তা ফেলতে দেখেন বলে অভিযোগ। ওই ঘটনা চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। দু’টিই প্রায় পূর্ণাঙ্গ ভ্রূণ। তা দেখতে প্রচুর মানুষের ভিড় জমে। নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে ভ্রূণ হত্যার অভিযোগ তুলে স্থানীয় বাসিন্দারা বিক্ষোভে ফেটে পড়েন। খবর পেয়ে পুলিস আসে। ভ্রূণ দু’টিকে সোনামুখী ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে তা ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, এদিন সকালে চা খেতে এসেছিলাম। ওই সময় দেখি নার্সিংহোমেরই এক কর্মকর্তা এবং এক মহিলা ব্যাগে করে আনা দু’টি ভ্রূণ নিকাশি নালায় ফেলে দেয়। তা নজরে পড়ায় আমি ওই কর্মকর্তাকে প্রশ্ন করি। তখন তিনি ভুল হয়ে গিয়েছে বলে ক্ষমা চেয়ে চলে যান। তারপরেই আমি লোকজনকে ডেকে ভ্রূণগুলিকে দেখাই। এরপরেই প্রচুর মানুষ জড়ো হন। ওই নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে বেআইনি কারবারের অভিযোগ তুলে স্থানীয়রা বিক্ষোভ দেখান। মোটা টাকার বিনিময়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ দীর্ঘদিন ধরে বেআইনি কারবারে লিপ্ত। আমরা চাই অবিলম্বে ওই নার্সিংহোমটি বন্ধ করা হোক। পুলিসের কাছেও সেই দাবি জানিয়েছি।
পুলিস জানিয়েছে, ঘটনাটি জানার পরই তদন্ত শুরু করা হয়। সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে আজ, সোমবার আদালতে তুলে আমরা হেফাজতে নেব।