বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নদীয়া জেলার সেচদপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, ‘জলস্তর ধীরে ধীরে নামছে। যদিও এখনও নির্ধারিত বিপদসীমার উপরেই রয়েছে ভাগীরথীর জলস্তর। আগামী কয়েকদিন যদি বৃষ্টি না হয়, তাহলে তা অনেকটা নেমে যাবে। আতঙ্কের কোনও কারণ নেই। জল আরও কিছুটা নামলে ভাঙনের বিষয়টি পরিষ্কার হবে। এই মুহূর্তে ভাঙনের ব্যাপারে আগাম কিছু বলা সম্ভব নয়।’ নদীয়া জেলায় ভাগীরথী ও জলঙ্গির জলস্তরের বিপদসীমা হচ্ছে ৮.৪৪ মিটার। শনিবার ভাগীরথী ও জলঙ্গির জলস্তর ছিল ৮.৯৪ মিটার। রবিবার সকালে তা কমে হয়েছে ৮.৮৮ মিটার। অর্থাৎ, বিপদসীমার থেকে জলস্তর ০.৪৪ মিটার বেশি রয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় জলস্তর কমেছে ০.০৬ মিটার। রবিবার বিকেলের মধ্যে তা আরও কিছুটা কমবে বলে সেচদপ্তরের আশা। মূলত অতি বৃষ্টি ও ঝাড়খণ্ডের তিলপাড়া, ম্যাসেঞ্জোর জলাধার থেকে জল ছাড়ার কারণে বীরভূম জেলা থেকে দ্বারকা, ময়ূরাক্ষী, বেলে, বাবলা, অজয় নদীর জল ভাগীরথীতে এসে মেশে। যার মধ্যে অজয় নদ কালীগঞ্জে মিশেছে। জলস্তর ফুলে ফেঁপে ওঠেছে। তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার প্লাবিত করে। যার মধ্যে রয়েছে কালীগঞ্জ ব্লকের গোবরা মাটিয়ারি ফরিদপুর, নাকাশিপাড়া ব্লকের মাঝেরগ্রাম, নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সহ বিভিন্ন এলাকা। এছাড়া নবদ্বীপ, শান্তিপুর, চাকদহ এলাকাতেও ভাগীরথীর জল ঢুকে পড়ে। শান্তিপুরে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়ে যায়। বর্তমানে সেই সমস্ত এলাকা থেকে জল নামতে শুরু করেছে। তবে নদী তীরবর্তী এই সমস্ত এলাকা ভাঙনপ্রবণ। জানা গিয়েছে, জলস্তর যদি ধীরে ধীরে নামে তাহলে ভাঙনের প্রবণতা কম থাকে। কিন্তু, তা নির্ভর করে নিচু এলাকা অর্থাৎ কলকাতা ও তার সংলগ্ন এলাকার জল কত তাড়াতাড়ি নামছে। যদি সেই সমস্ত এলাকায় ভাগীরথীর জলস্তর হু হু করে নামতে শুরু করে তা হলে বড় ভাঙন দেখা যেতে পারে। সেচদপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, ‘নদীর পাড় এখনও জলের তলায়। এখনই ভাঙনের ভয় নেই। তবে কিছু এলাকায় ভাঙন হবে। মূলত শান্তিপুর থেকে কল্যাণীর দিকেই হতে পারে।’