বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
ঝাড়গ্ৰামের মানিকপাড়া রেঞ্জের ৪২টি হাতিকে শনিবার রাতে কংসাবতী নদী পার করানো হচ্ছিল। বনদপ্তরের ট্র্যাকার্স ও মিটারিং টিমের সদস্যরা এই কাজে যুক্ত ছিলেন। প্রথমে আখড়াশোল ও সাতপাটি এলাকায় কংসাবতী নদী পার হয় ৩০টি হাতির দল মেদিনীপুরের দিকে চলে যায়। পরে আরও ১২টি হাতি ওই রুটেই পার হয়। প্রথম দলে ছিল দু’টি শাবক। তাদের মধ্যে একটির বয়স একমাস ও অন্যটির বয়স দু’মাস। মা হাতি একমাসের হস্তি শাবকটিকে নিয়ে দলের সঙ্গে পার হয়ে যায়। দু’মাসের হস্তিশাবকটি ভেসে গিয়ে নদীর মধ্যে থাকা বালির চরে আটকে পড়ে। বাচ্চা হাতিটি অন্ধকারের মধ্যে সাঁতরে পারের দিকে বারবার আসার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। তখন বনদপ্তরের দুই কর্মী সাঁতার দিয়ে কোনওক্রমে হস্তি শাবকটির কাছে পৌঁছয়। শাবকটিকে গামছা দিয়ে বেঁধে ঝাড়গ্ৰামের আখড়াশোলের দিকে নিয়ে আসা হয়। বাচ্চাটি মায়ের সন্ধানে চারিদিকে ছোটাছুটি শুরু করে। শাবকটিকে উদ্ধারের ১৫ মিনিটের মধ্যে মা হাতি সহ চারটে হাতি মেদিনীপুরের দিকে থেকে নদী সাঁতরে ঝাড়গ্ৰামের দিকে চলে আসে। বনদপ্তরের কর্মীরা বাচ্চা হাতিটিকে মায়ের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেন। চারটে হাতি শাবকটিকে নিয়ে ফের নদী সাঁতরে মেদিনীপুরের দিকে চলে যায়। শাবক সহ চারটে হাতি নদী পার হওয়ার সময় জোরালো টর্চের আলো দিয়ে পথ দেখানো হয়। যাতে শাবকটি নতুন করে ভেসে না যায়। বনদপ্তরের এই প্রচেষ্টাকে সাধুবাদ জানানো হলেও খরস্রোতা নদীতে হাতির পাল রাতে কেন পার করানো হচ্ছিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
বন্যপ্রাণী রক্ষার কাজে যুক্ত শ্যামসুন্দর মাহাত বলেন, কংসাবতী নদীতে জল বেড়েছে। বনদপ্তর সুরক্ষার জন্য একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে। হাতির পালে শাবক থাকে। সেটা জেনেও হাতির পালকে খরস্রোতা নদীতে পার করানো হচ্ছিল। সৌভাগ্যক্রমে শাবকটি বালির চরে আটকে গিয়েছিল। কিছুদিন আগে জ্বলন্ত শলাকা বিদ্ধ হয়ে একটি হাতি মারা গিয়েছে। শাবকটির মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। বনদপ্তরের রাতের বেলা নদী পার করনোর বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে ভাবা দরকার।
ঝাড়গ্ৰামের ডিএফও উমর ইমাম বলেন, বনদপ্তরের কর্মীরা দু’ঘণ্টার চেষ্টায় হস্তি শাবকটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। অন্ধকার থাকায় উদ্ধার কাজে বিলম্ব হয়। হস্তিশাবকটি বিচ্ছিন্ন হয়েছে বুঝতে পেরেই উদ্ধার হওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যেই মা সহ চারটে হাতি নদী সাঁতরে এপারে আসে। শাবকটিকে নিয়ে ফের নদী সাঁতরে ওপারে চলে যায়।