বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
নবদ্বীপ স্বরূপগঞ্জ পঞ্চায়েতের নবজাগরণ স্পোর্টিং ক্লাবের পুজো ৫৬ বছরের প্রাচীন। এবছর তারা উত্তরপ্রদেশের একটি রাধাকৃষ্ণ মন্দিরের আদলে পুজো মণ্ডপ তৈরি করছে। প্রায় ৪৫ ফুট উচ্চতার মণ্ডপ। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে তৈরি হচ্ছে একচালা আর্টের প্রতিমা। সম্পূর্ণ মাটির কাপড় আর মাটির সাজে সজ্জিতা থাকবেন দেবী দুর্গা। রং-বেরঙের আলোয় আলোকিত হয়ে উঠবে শুধু পুজো মণ্ডপ নয়, ক্লাবের শিশুদের বিনোদন পার্কও।
নব জাগরণ স্পোর্টিং ক্লাবের সম্পাদক ভজন দেবনাথ বলেন, ক্লাবের সমস্ত সদস্য ও পাড়া প্রতিবেশীরা এই পুজোয় নিজেদের নিয়োজিত রাখে। পুজোর দিনগুলিতে এলাকার কচিকাঁচারা মণ্ডপের সামনে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পুজো কমিটির অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক গোপাল রায় বলেন, ক্লাবের শিশু বিনোদন পার্কের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এখানকার মণ্ডপকে আকর্ষণীয় করে তোলে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মধ্যে দর্শকদের যাতে নতুন কিছু উপহার দেওয়া যায়, সেই চেষ্টাই করা হয়। লক্ষ্য থাকে দর্শনার্থীরা যেন পুজো মণ্ডপে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুঁজে পান। এমনকী দর্শকরা যাতে সুষ্ঠুভাবে পুজো মণ্ডপ ও প্রতিমা দেখতে পারেন, সেই জন্য পুজোর দিনগুলিতে স্বেচ্ছাসেবকের ভূমিকা পালন করে থাকে এলাকার নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা।
পুজো কমিটির সম্পাদক রাজু দেবনাথ বলেন, করোনা পর থেকে গ্রামীণ এলাকার পুজো কমিটিগুলির আর্থিক অবস্থা খুবই খারাপ হয়ে গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুজো কমিটিগুলোকে সরকারি অনুদান দিচ্ছেন। বিদ্যুতেও সাবসিডি পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে পুজোর অনুদানের অঙ্ক প্রায় এক লক্ষ টাকা। আমরা কৃতজ্ঞ বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহার সহযোগিতায় ক্লাব উন্নয়নের জন্য যুব কল্যাণ দপ্তরের তরফে পাঁচ লক্ষ টাকা অনুদান পেয়েছি। সেই টাকাতেই আমরা শিশুদের জন্য এই বিনোদন পার্ক করেছি।
পুজো কমিটির সভাপতি সত্যম দেবনাথ বলেন, পুজোর দিনগুলিতে দূরদূরান্ত থেকে দর্শনার্থীরা ভিড় করেন পুজা মণ্ডপে। ইতিমধ্যে এই পুজো অনেকবারই বিভিন্ন সংস্থার বিচারে পুরস্কার পেয়েছে। মণ্ডপের জন্য ২০১৮ সালে নদীয়া জেলার মধ্যে প্রথম হয়েছিল এই পুজো। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান পুরস্কার পেয়েছিল আমাদের পুজো।
উল্লেখ্য, পুজোর দিনগুলিতে স্থানীয় মহিলারা উপবাস থেকে পুজোর সমস্ত আয়োজন করেন। অষ্টমীর দিন দুঃস্থদের বস্ত্র বিলি করা হয়ে থাকে। শুধু পুজো পার্বণ নয়, সারা বছর সামাজিক বিভিন্ন কাজে নিজেদের নিয়োজিত রাখেন ক্লাব সদস্যরা। -নিজস্ব চিত্র