হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
ঝাড়গ্রাম শহর পাকা রাস্তা ধরে ১০ কিমি দূরে অথবা বাঁশতলা স্টেশন থেকে মাত্র দু’কিলোমিটার পূর্বে রামরামা জঙ্গল। এই জঙ্গলের সঙ্গে মিশে রয়েছে ক্ষুদ্র সেচ প্রকল্পের লালগেড়িয়া বড়বাঁধ। ২৫-৩০ বছর ধরে জেলা ও কলকাতা শহর থেকে পর্যটকরা এখানে বনভোজন করতে এসে জায়গাটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন। রামরামা জঙ্গলের অন্যপ্রান্তে ইংরেজদের তৈরি সিপাই বাঁধ ও নীলকুঠি দেখার সুযোগ পান পর্যটকরা। এখানে আসা যাওয়ার পথে বাঁশতলা রেল স্টেশনের পাশে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্নেহধন্য ‘বোধনা’ নিকেতন দেখার সুযোগ পান অনেকেই। এই শিক্ষা সদনের পাশেই একটি আশ্রমের ভেতরে রয়েছে রাজ আমলের দুর্গাপুজোর প্রাচীন বেদি। সেই সঙ্গে টিয়াকাটি, নলবনা, বাঁশতলা, জামবেদা, দামোদরপুর, লালগেড়িয়া, গুইমারা গ্রামে রাত্রিবাস করে পর্যটকরা ঝুমুর ও সাঁওতালি নাচগান উপভোগ করার সুযোগ পান।
এলাকার বাসিন্দা রাজেন হাঁসদা বলেন, বড়বাঁধ ও সিপাই বাঁধকে কেন্দ্র করে এলাকায় পর্যটন শিল্প গড়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে। এখানে পর্যটন শিল্প গড়ে উঠলে এলাকার আর্থিক উন্নতি ঘটবে। ঝাড়গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি রেখা সোরেন বলেন, আমাদের বাঁধগোড়া গ্রামপঞ্চায়েতের সিপাই বাঁধ ও মানিকপাড়া গ্রামপঞ্চায়েতের রামরামা জঙ্গলের সামনে বড়বাঁধ রয়েছে, সেগুলিতে আমরা মাছ চাষ শুরু করে কীভাবে পর্যটন শিল্প গড়ে তোলা যায়, তা নিয়ে এলাকাবাসীর সঙ্গে আলোচনা করব। তারপর সাংসদকে প্রস্তাব দেওয়া যেতেই পারে।
স্থানীয় বাসিন্দা তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত সদস্য ও অঞ্চল সভাপতি সুধীররঞ্জন মাহাত বলেন, এখানে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠার সুন্দর পরিবেশ আছে। সেরকম হলে এলাকার আর্থিক বিকাশ ঘটবে।
এই নিয়ে নবনির্বাচিত সাংসদ কালীপদ সোরেন বলেন, এলাকার বাসিন্দারা আমার কাছে প্রস্তাব দিলে অবশ্যই রামরামার বড়বাঁধে পাখিরালয় ও পর্যটন কেন্দ্র করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। লালগড় এলাকায় কাঁসাই নদীর ধারে রাজ আমলের যে সুন্দর জায়গা আছে, সেখানে পর্যটন কেন্দ্র করে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে। এই ধরনের জায়গাগুলিকে অবশ্যই গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা হবে।