হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
ওই পঞ্চায়েত সমিতির উত্তর-পশ্চিম সীমানা তথা দাসপুর-১ ব্লকের বৈদ্যপুরের প্রান্ত থেকে ওই রাস্তাটি শুরু হয়েছে। শেষ হয়েছে ব্লকের দক্ষিণ-পূর্ব কোণ জ্যোতঘনশ্যামে। পঞ্চায়েত সমিতির মধ্যে ওই রাস্তাটির দৈর্ঘ্য সবথেকে বেশি। রাস্তাটি খানজাপুর, কামালপুর, সাহাচক, গোছাতি, পলাশপাই এবং জ্যোতঘনশ্যাম গ্রামপঞ্চায়েতের উপর দিয়ে গিয়েছে। তাই স্বাভাবিকভাবেই ওই রাস্তার উপর দিয়ে স্থানীয় গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দা ছাড়াও ওই ব্লকের অন্যান্য গ্রামপঞ্চায়েত এবং দাসপুর-১ ব্লকের কয়েকটি গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দারা নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে রাস্তাটির গুরুত্বও খুব বেশি।
পঞ্চায়েত সমিতি সূত্রে জানা গিয়েছে, রাস্তাটি আগে মোরাম ছিল। প্রায় এক দশক আগে ওই মোরাম রাস্তাটিকে প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনার অধীনে পিচ রাস্তায় রূপান্তরিত করা হয়। কিন্তু কয়েক বছর যেতে না যেতেই রাস্তার বেহাল দশা হয়ে যায়। গোপালপুর গ্রামের বাসিন্দা ভগীরথ জানা, ইসবপুরের নির্মল বেরা, দুবরাজপুরের অসিত আদক প্রমুখ বলেন, বেশিরভাগ অংশেই রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে রাস্তার উপর বড়বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। ফলে যাতায়াত করতে খুবই সমস্যা হয়।বিগত দেড় বছরের বেশি সময় ধরে ওই রাস্তাটি সংস্কারের জন্য চার-পাঁচটি গ্রামপঞ্চায়েতের বাসিন্দারা বহুবার প্রশাসনের শরণাপন্ন হয়েছিলেন। কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। সম্প্রতি রাস্তাটি সংস্কারের জন্য তোড়জোড় শুরু হওয়ায় খুশি ওই পঞ্চায়েত সমিতির ২০-৩০টি গ্রামের বাসিন্দারা। পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, রাস্তাটি সংস্কারের জন্য আমরাও দীর্ঘদিন ধরে প্রচেষ্টা চালিয়ে আসছি। কিন্তু বিশেষ কয়েকটি কারণের জন্য রাস্তা সংস্কারের ছাড়পত্র আমরা পাইনি। এবারের লোকসভা নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার দু’দিন আগেই রাস্তাটি সংস্কারের টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়। আমরা নির্ঘণ্ট ঘোষণার আগেই ওয়ার্ক অর্ডার বার করার চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু সেটা স্বল্প সময়ের জন্য সম্ভব হয়নি। এবার খুব তাড়াতাড়িই কাজ শুরু হয়ে যাবে। এদিকে বর্ষার আগে রাস্তার কাজ শুরু হওয়ার তোড়জোড় শুরু হওয়ায় রাস্তা তৈরির গুণগত মান নিয়ে অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করছেন। অনেকের ধারণা, বর্ষার সময় রাস্তা সংস্কারের কাজ হলে রাস্তার স্থায়িত্ব বেশি হবে না। যদিও পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ বলেন, এমন আশঙ্কা করার কোনও কারণ নেই।