হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
জেলা পরিষদের দলনেতা মহম্মদ রফিক বলেন, রাস্তা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। খারাপ রাস্তার তালিকা বিডিওদের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাঁদের সমস্ত প্রস্তুতি সেরে রাখতে বলা হয়েছে। যাতে টাকা ঢুকলেই কাজ শুরু হয়।
১৪ মে মেদিনীপুর লোকসভার দাঁতনে সভা করতে আসেন অভিষেক। সভায় তাঁকে বলতে শোনা যায়, ‘দাঁতনের বেশ কিছু রাস্তা খারাপ। আপনারা জুনকে ভোটে জেতান। আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, তিন মাসের মধ্যে ৫০ কিমি গ্রামীণ রাস্তার কাজ আমি শুরু করিয়ে দেব। এটাই তৃণমূলের গ্যারান্টি।’ অভিষেকের কথায় আস্থা রেখেছেন দাঁতনের মানুষ। গত লোকসভা ভোটে যে দাঁতনে প্রায় সাত হাজার ভোটে শাসকদল পিছিয়ে ছিল, সেখানকার মানুষ এবার তৃণমূল প্রার্থী জুন মালিয়াকে ৬৩৩৪ভোটে জিতিয়েছেন।
দাঁতন-২ ও মোহনপুর ব্লকের মূল সংযোগকারী ২৪ কিমি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। এনিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বকেও প্রায়শই ক্ষোভের মুখে পড়তে হয়। সাবড়া, জেনকাপুর, তুরকা সহ নানা পঞ্চায়েতের গ্রামীণ রাস্তার অবস্থা খারাপ। দাঁতন-২ ব্লক তৃণমূল সভাপতি তথা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ ইফতেকার আলি বলেন, ভোটে এসমস্ত বেহাল রাস্তা অন্যতম ফ্যাক্টর হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছিল। কিন্তু রাস্তা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে মানুষের মন জয় করে নিয়েছেন অভিষেক। আমাদের সরকার যে কথা দেয়, সেই কথা রাখে। রাস্তা তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আমরা আশাবাদী, কিছুদিনের মধ্যেই টাকা ঢুকে যাবে।
কেশপুরের আনন্দপুরে ১৯ মে দেবের সমর্থনে সভা করতে আসেন অভিষেক। কেশপুরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘গতবার দেবকে আপনারা প্রায় ৯০ হাজার ভোটের ব্যবধানে জিতিয়েছিলেন। এবার সেটা এক লক্ষ বা তার বেশি হলে ফলাফল ঘোষণার তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারের মাধ্যমে শুধুমাত্র কেশপুর বিধানসভা এলাকায় ৫০ কিমি গ্রামীণ রাস্তা করে দেওয়া হবে।’ কেশপুরের ব্লক সভাপতি প্রদ্যোৎ পাঁজা বলেন, ‘কেশপুরের মানুষ আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। দেবকে তাঁরা এক লক্ষ তিন হাজার ভোটে জিতিয়েছেন। এবার আমাদেরও কথা রাখার পালা। আর অভিষেক নিজে যখন কথা দিয়েছেন, তখন রাস্তা তৈরি হবেই।’