হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
আরামবাগ মহকুমার সমস্ত জমা জল বিভিন্ন খাল বেয়ে খানাকুলে অরোরা খাল হয়ে রূপনারায়ণ নদে পড়ে। আরামবাগ মাস্টার প্ল্যানের প্রথম দফায় অরোরা খালের উপরের দিকে ৪ কিলোমিটার সংস্কার হয়েছে। বাকি ১২ কিমি সংস্কারের কাজ দ্রুত শুরু করা হবে। একইসঙ্গে খানাকুল-২ ব্লকের জগৎপুর পঞ্চায়েতের শশাখালি এলাকায় সেতু ও স্লুইসগেট তৈরির জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছে। জগৎপুর ও ধান্যগোরী পঞ্চায়েত এলাকাকে সেতুটি যুক্ত করবে।
বর্ষায় জলের তোড়ে খালের উপর বাঁশের সেতুটি প্রতিবছর ভেঙে যায়। এতে ধান্যঘোরী পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দারা সবচেয়ে বেশি সমস্যায় পড়েন। খানাকুলের প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ও বাজার এলাকা তাঁদের ঘুরপথে আসতে হয়। সেতু তৈরি হলে এলাকার মানুষের যাতায়াতের দীর্ঘদিনের সমস্যা মিটবে। স্লুইস গেট তৈরি হলে রূপনারায়ণ নদের জোয়ারের জল আটকে রেখে বরো চাষের কাজে ব্যবহার করা যাবে। খানাকুলের চাষিদের প্রতিবছর বরো চাষের জলের জন্য চিন্তা করতে হবে না। জেলা সেচ দপ্তরের এক আধিকারিক বলেন, শশাখালিতে অরোরা খালের ওপর সেতু সহ স্লুইস গেট তৈরি হবে। প্রকল্পের জন্য ৬ কোটি ৮৮ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। টেন্ডার ডাকা ইতিমধ্যেই হয়ে গিয়েছে। খুব দ্রুত কাজ শুরু হবে। জগৎপুর পঞ্চায়েতের প্রধান টুম্পা হাজরা বলেন, শশাখালির মুখে কংক্রিটের সেতু ও স্লুইস গেট তৈরি করার দাবি দীর্ঘদিনের। বাঁশের সেতু দিয়ে এলাকার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করেন। বর্ষার সময় সেতুটি ভেঙে ভেসে যায়। এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সেতু হলে দু’টি পঞ্চায়েত এলাকার মানুষ উপকৃত হবেন। স্লুইস গেটের মাধ্যমে রূপনারায়ণ নদের জোয়ারের জল ধরে রাখা যাবে। বরো চাষের জলের জন্য চাষিদের অযথা দুশ্চিন্তা করতে হবে না। ধান্যগোরী পঞ্চায়েতের কাকনান এলাকার চাষি লক্ষ্মী সামান্ত বলেন, আমাদের বহুদিনের দাবি ছিল অরোরা খালের উপর স্লুইস গেট তৈরি করার। গ্রীষ্মের সময় চাষের কাজে জলের সমস্যা হয়। বাড়তি অর্থ দিয়ে জল কিনতে হয়। স্লুইস গেট তৈরি হলে রূপনারায়ণের জোয়ারের জল আমরা ব্যবহার করতে পারব। বন্দর, কাকানান, হীরাপুর এমনকী খানাকুল-১ ব্লকের পাতুল এলাকার চাষিরা এই জল ব্যবহার করতে পারবেন। দু’টি ব্লকের চাষিরাই উপকৃত হবেন।
খানাকুল-২ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি রমেন প্রামাণিক বলেন, খানাকুলজুড়ে অসংখ্য ছোট ছোট খাল আছে। খালের ওপর বাঁশের সেতু দিয়ে মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। অরোরা খালের ওপর সেতু ও স্লুইসগেটটি তৈরি হলে যাতায়াতের সমস্যা যেমন মিটবে, তেমনি গ্রীষ্মকালে এই এলাকার চাষবাসের চিত্রটাই বদলে যাবে। আরামবাগে এসডিও সুভাষিনী ই বলেন, শশাখালিতে অরোরা খালের ওপর সেতু ও স্লুইস গেট তৈরির কাজ দ্রুত শুরু হবে। কাজের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে।