বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিপ্লববাবু বলেন, আমাদের ব্যবহারে মানুষজন অসন্তুষ্ট। মানুষ কেমন আছেন সেটা নিয়ে আমরা ঠিকমতো খোঁজখবর রাখি না। কেউ প্রয়োজনে আমাদের কাছে এলে কখনও ঠিকমতো ব্যবহার পান না। এতে সাধারণ মানুষের মনে অসন্তোষ তৈরি হয়। আমাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া এটা একটা কারণ। ময়না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সন্দীপব্রত দাস এদিনের বৈঠকে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, আমার প্রতিপক্ষ বিজেপির মতো শক্তিশালী দল। কিন্তু, এবারের ভোটকে ততটা গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। পঞ্চায়েত ভোটের মতো জনসংযোগ, কর্মীদের চনমনে রাখার জন্য ভোজ, এসব ব্যবস্থা এসব ছিল না। তাছাড়া, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতি বিরোধী মুখ হিসেবে মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্যতা আদায় করে নেওয়ায় আমাদের প্রার্থীর পরাজয় হয়েছে। এই ভোটে অর্থশক্তির কাছে দল হেরেছে বলে বক্তব্য রাখেন কোলাঘাটের ব্লক সভাপতি সুমিত্রা পাত্র, শহিদ মাতঙ্গিনীর ব্লক সভাপতি রাজেশ হাজরা প্রমুখ। তাঁরা বলেন, এবারের ভোটে বিজেপি প্রচুর টাকা ঢেলেছে। ডিজিটাল মাধ্যমে লেনদেন হয়েছে। এছাড়াও প্রচুর নগদ টাকা ছড়ানো হয়েছে। জেলা যুব তৃণমূল সভাপতি আসগর আলি বলেন, আমাদের পার্টিতে দাদার অনুগামী নেতা-কর্মীরা আছেন। তাঁরা মোটা টাকা খেয়ে উল্টো ভোট করিয়েছেন। তমলুক লোকসভার অন্তর্গত সাতটি বিধানসভাতেই তৃণমূল পিছিয়ে। অথচ, ২০২১সালে এই লোকসভার অধীন তমলুক, পাঁশকুড়া পূর্ব, নন্দকুমার এবং মহিষাদল বিধানসভায় তৃণমূল জয়ী হয়েছে। বিধায়করা নিজের এলাকা থেকে লিড দিতে না পারায় তাঁরা কর্মীদের রোষের মুখে পড়ছেন। ব্লক সভাপতিরাও এই বিপর্যয়ে কুলকিনারা খুঁজে পাচ্ছেন না। বৈঠকে মূলত বিধায়ক এবং ব্লক সভাপতিদের কাছ থেকে পরাজয়ের ব্যাখ্যা জানতে চাওয়া হয়েছিল। গতবছর পঞ্চায়েত ভোটে এই লোকসভার অধীন তৃণমূলের ফলাফল তুলনামূলক ভালো ছিল। কিন্তু, লোকসভায় বিপর্যয় হয়েছে।