মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
বুথের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকা ভোট কর্মী কেয়া দত্ত বলেন, ভোট মানে গণতন্ত্রের উৎসব। সেই কারণে বুথের মধ্যেও আমরা উৎসবের পরিবেশ বজায় রাখার চেষ্টা করেছিলাম। এখানে ভোট দিতে আসা ভোটারদের জন্য সমস্ত রকম সুবিধা ছিল। গরমের কথা ভেবে তৈরি করা হয়েছিল মেডিক্যাল ক্যাম্প। কলসির ঠান্ডা জলেরও বন্দোবস্ত করা হয়েছিল।
বুথের বাইরে দাঁড়িয়েছিলেন মহিলা পুলিস কর্মী টুম্পা পাল। তিনি বলেন, এখানে ডিউটি করে অন্যরকম অনুভূতি হল। একবারের জন্য ভোটকেন্দ্রে উত্তেজনা ছড়ায়নি। ভোটাররা উৎসবের মেজাজে এসে ভোট দিয়েছেন। সেলফি তুলে তাঁরা হাসিমুখে বাড়ি ফিরেছেন।
ভোট কেন্দ্রের বাইরে সেলফি পয়েন্টে ছবি তুলতে ব্যস্ত ছিলেন পায়েল মাঝি, চম্পা কুমারীরা। তাঁরা বলেন, ভোট দিতে এসে এরকম ছবি তোলার সুযোগ পাব ভাবতে পারিনি। প্লাস্টিকের ফুল দিয়ে ডিয়ার সেলফি পয়েন্ট তৈরি করা হয়েছিল। চারিদিক সাজানো গোছানো ছিল। তাই ছবি তোলার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইনি।
ভোট দিতে আসা শিল্পা দাস বলেন, ভোটকেন্দ্র অনেকটা বিয়ে বাড়ির মতো লাগছিল। ভালো লাইক কমেন্ট পাওয়া যাবে, সেই কারণেই ভোট দেওয়ার পর সেলফি তুলেছি।
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, এবার প্রতিটি লোকসভা কেন্দ্রেই মডেল বুথ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। অনেক জায়গাতেই তা হয়। কিন্তু, ইন্দাস উচ্চ বিদ্যালয়ের বুথের ছবিটা ছিল সম্পূর্ণ অন্যরকম। অন্যান্য জায়গার মতো এখানে কেন্দ্রীয় বাহিনীর চোখরাঙানি ছিল না। বরং তারা ভোটারদের স্বাগত জানাচ্ছিল। ভোটাররা বলেন, বিয়ে বাড়ি না ভোটকেন্দ্র তা ছবি দেখে অনেকেই দ্বিধায় পড়বেন। শুধু এখানে সানাইয়ের সুর ছিল না। তাছাড়া সমস্ত রকম আয়োজন ছিল। বরযাত্রীর ভূমিকায় ছিলেন ভোটাররা। আর ভোটকর্মীদের আপ্যায়ণ ছিল কনে পক্ষের মতোই। একটি আদর্শ ভোটকেন্দ্র।