মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যান সমীর সাহা বলেন, আমরা সব স্নান ঘাটগুলি পরিদর্শন করেছি। মোটামুটি সবগুলিরই সংস্কার করার পরিকল্পনা হয়েছে। আপাতত দেবরাজ ঘাট এবং বাজারে ঘাটের কাজ শুরু করা হয়েছে। বাকিগুলিও ধাপে ধাপে করা হবে। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া শহরের ভাগীরথীতে মোট ৮টি স্নানের ঘাট রয়েছে। বাজারে ঘাট, গোয়ালপাড়া ঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, দেবরাজ ঘাট, হরিসভাপাড়া ঘাট, কাঠগোলাঘাট, কাশীগঞ্জপাড়া ঘাট এবং শ্মশানঘাট। এছাড়া ছেঁড়াকালী ঘাটে স্নান করার পরিকাঠামো না থাকলেও সেখানেও প্রচুর মানুষ স্নান করতে ভিড় জমান। সারাবছর পুণ্যার্থীরা স্নান করতে আসেন কাটোয়ায়। বিশেষ করে মহালয়ার তর্পণ, শ্রাবণ মাসে জল ভরা, কালীপুজোর স্নানের সময়ে কাতারে কাতারে মানুষ আসেন পুণ্যস্নান সারতে। কাটোয়ার ভাগীরথী নদীর স্নানঘাটগুলির অধিকাংশের অবস্থা বিপজ্জনক। যার ফলে স্নান করতে নেমে প্রায়শই প্রানহানি ঘটছে। গত পাঁচমাসে কাটোয়ায় গঙ্গাস্নান করতে এসে চারজন তলিয়ে গিয়েছেন। এর আগেও বহু মানুষ স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গতবছরের শেষের দিকে কাটোয়া বিআইটি পলিটেকনিক কলেজের তিন পড়ুয়া কাটোয়ার দেবরাজঘাটে স্নান করছিলেন, সেই সময়ে দু’জন তলিয়ে যান। পরে তাঁদের দেহ উদ্ধার হয়। চলতি বছরেও ১৮ মার্চ কাটোয়ার বাজারেঘাটে মা ও মাসির সঙ্গে স্নানে এসে তলিয়ে যান এক কলেজ পড়ুয়া। ১৫ এপ্রিল কাটোয়ার শ্মশানঘাটে দুই ভাই স্নান করার সময় একজন তলিয়ে যায়। পরে তার দেহ উদ্ধার হয়। বার বার স্নানঘাটগুলির সংস্কারের দাবি তুলেছিলেন শহরের বাসিন্দারা। ইতিমধ্যেই ঘাট সংস্কারের কাজের তদারকি করেছেন পুরসভার চেয়ারম্যান।