মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
এদিন ভোরবেলা উঠেই ঘরের কাজ সেরে বুথে গিয়ে লাইন দেন মহিলারা। সকাল ৮টা নাগাদ ভগবানপুর-২ ব্লকের উত্তর বামুনিয়ায় বুথ থেকে ভোট দিয়ে বেরচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা রেখা বেরা। তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা ঢুকছে। ডিসেম্বর মাসে আবাস যোজনার বাড়ি তৈরির টাকা ঢুকবে বলে প্রতিশ্রুতি পেয়েছি। আমরা উন্নয়নের পক্ষে। কাকে ভোট দিলাম বুঝে নিন। কায়েমগেড়িয়া হাইস্কুলের ভোটকেন্দ্র থেকে বেরিয়ে এক মহিলা ভোটার বলেন, অন্যবার রান্নাবান্না সেরে এসে ভোটের লাইনে দাঁড়াতাম। দিদির লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পাচ্ছি। কয়েকদিন আগে দু’মাসের টাকা একসঙ্গে পেয়েছি। এবার অনেক ভোর থেকে উঠে সব কাজ সেরে ভোট দিলাম। উত্তর কাঁথি বিধানসভার শুকুনিয়া আদর্শ প্রাথমিক স্কুলে ভোটের লাইনে দাঁড়ানো এক মহিলা বলেন, আমরা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলা। সকাল সকাল ভোট দিতে সকলকে বুঝিয়েছি। নিজেরাও এসেছি।
শুক্রবার ভোটের আগেরদিন ভগবানপুরের পাঁউশির উত্তরপল্লিতে ক্লাবঘরে তৃণমূল কর্মীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। সব্জি কাটা থেকে রান্নার সমস্ত আয়োজনের দায়িত্বে ছিলেন মহিলা কর্মীরা। এই মহিলা কর্মীরাই গত কয়েকদিন ধরে দাপিয়ে এলাকায় প্রচার করছেন। এক তৃণমূল কর্মী বলেন, রেশনে পাওয়া চাল এনেছি। বাড়ির চাষের কুমড়ো আর পুঁইডাটার ঘণ্ট আর মুরগির মাংস রান্না হচ্ছে। দু’মাস ধরে দলের কর্মীরা কাজ করেছেন। সেজন্য একটু আয়োজন তো করতেই হবে।
শাসকদলের বরোজ অঞ্চল সভাপতি মিহির ভৌমিক বলেন, পঞ্চায়েত সদস্যা সহ মহিলা কর্মীরা আমাদের প্রার্থীর সমর্থনে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করেছেন। মহিলারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার সহ নানা প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন। সেকারণে তাঁরা আমাদের প্রার্থীর উপরই আস্থা রাখবেন। এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, মহিলারা নিজে থেকেই শাসকদলের প্রচারে নেমেছেন। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের জন্যই এমন পরিস্থিতি হয়েছে।
যদিও মহিলা ভোট পাওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী ভগবানপুরের বিধায়ক বিজেপির রবীন্দ্রনাথ মাইতি। তিনি বলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা কোনও প্রকল্প নয়, মহিলারা তৃণমূলের সন্ত্রাস থেকে মুক্তি পেতে আমাদের ভোট দেবেন। তৃণমূলের কোনও কৌশল কাজে লাগেনি। ৪জুন গেরুয়া আবির খেলা হবে।