সংবাদদাতা, বহরমপুর: অক্ষয় তৃতীয়ার পর থেকে খুচরো বাজারে ডিমের দাম সাড়ে ছয়, সাত টাকার মধ্যে ওঠানামা করছে। গরমে ডিমের দাম কম থাকে। এবার গরমে ডিমের দাম না নামায় কালোবাজারির অভিযোগ তুলতে শুরু করেছেন ক্রেতামহল। তাঁদের দাবি, জোগান কমের অজুহাত দেখিয়ে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী লোক ঠকানোর কারবার শুরু করেছেন। ক্রেতা সুরক্ষা দপ্তরের বিষয়টি খতিয়ে দেখা উচিত। ডিমের পাইকারি বিক্রেতাদের দাবি, তীব্র দাবদাহে মুরগির ফার্মে মড়ক লাগার মতো অবস্থা হয়েছিল। ডিমের উৎপাদন তলানিতে এসে ঠেকেছে। উৎপাদনে ঘাটতি হওয়ায় দামে তার প্রভাব পড়েছে। মুর্শিদাবাদ জেলায় মুরগির মাংসের উৎপাদন হলেও ডিমের উৎপাদন সেভাবে হয় না। এই জেলায় প্রতিদিনের ডিম সরবরাহ হয় আরামবাগ, বীরভূম থেকে। ডিম উৎপাদনে মুর্শিদাবাদ জেলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রশাসনিক স্তরে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ফার্ম তৈরি করতে সরকারি ভর্তুকিও ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু দৈনিক ডিমের চাহিদা থেকে এই জেলা অনেক পিছিয়ে রয়েছে। ফলে অন্য জেলা থেকে ডিমের আমদানি করেই ঘাটতি মেটাতে হচ্ছে।
খুচরো বিক্রেতাদের দাবি, শীতে ডিমের দাম বাড়ে। আবার গ্রীষ্মে দাম কমে। এবার অক্ষয় তৃতীয়া পর্যন্ত ডিমের দাম পাঁচ টাকা প্রতি পিস ছিল। তারপর থেকে ডিমের দাম হু হু করে বাড়তে শুরু করেছে। দু’দিন আগে জেলার বিভিন্ন জায়গায় সাত টাকা প্রতি পিস দামে ডিম বিক্রি হয়েছে। বুধবার থেকে প্রতি পিসে পঞ্চাশ পয়সা দাম কমেছে। ডিম বিক্রেতা রথীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, বুধবার থেকে দাম কমেছে। তবে অনেকে এখনও সাত টাকা দামেই ডিম বিক্রি করছেন। তাঁরা কেন দাম কমাননি জানি না। বহরমপুর স্বর্ণময়ী বাজারে ডিম কিনতে এসে বিতর্কে জড়ান জয়দেব পাল। জয়দেববাবু বলেন, কেউ সাড়ে ছ’টাকা নিচ্ছেন। কোথাও দাম সাত টাকা। পাশাপাশি দোকানে দামের এই ফারাক দেখেই ডিমে কালোবাজারির সন্দেহ বাড়ছে।