গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন সকালে ওই বৃদ্ধকে একটি গাছে ঝুলতে দেখে তাঁর ছেলেদের খবর দেন এলাকার বাসিন্দারা। পরে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এদিন মৃতের বড় ছেলে সিদ্ধেশ্বর মাঝি বলেন, মা মারা যাওয়ার পরেই বাবা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। মায়ের মৃত্যু মেনে নিতে না পেরেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে হচ্ছে।
গেনা মাঝি রেলের ঠিকাদারের অধীনে নৈশপ্রহরীর কাজ করতেন। বাড়িতে তাঁর স্ত্রী লক্ষ্মী মাঝি, তিন ছেলে, বউমা, নাতি-নাতনি নিয়ে সুখের সংসার ছিল। বড় ছেলে সিদ্ধেশ্বর গ্রামেই মুদি দোকান করেছিলেন। মেজ ছেলে চন্দ্রেশ্বর ও ছোট ছেলে সন্তোষ ভিনরাজ্যে থাকতেন। তাঁদের ভালোভাবেই সংসার চলত। লক্ষ্মীদেবী দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। ছেলেরা তাঁর চিকিৎসাও নিয়মিত করাতেন। কিন্তু অক্ষয় তৃতীয়ার দিন তিনি বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে সঙ্গে সঙ্গে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গেনা মাঝি স্ত্রীকে খুব ভালোবাসতেন। তাই স্ত্রীর মৃত্যুতে তিনি মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়েন।
মৃতের বড় ছেলে বলেন, বাবা ও মায়ের মধ্যে কোনওদিন তেমন কোনও অশান্তি ছিল না। তাঁরা বেশ সুখেই ছিলেন। মায়ের মৃত্যুর পর বাবা পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিলেন। আমাদের মা-বাবা কেউ রইল না। সব শেষ হয়ে গেল।