গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রের জন্য কমপক্ষে ২৫ জন করে কাউন্টিং এজেন্ট দরকার। প্রতিটি বিধানসভা কেন্দ্রে আলাদা আলাদা এজেন্ট থাকেন। তাঁদের উপর প্রার্থীর ভাগ্য অনেকটাই নির্ভর করে। এজেন্টরা ‘সেটিং’ করলে পাশা বদলে যেতে পারে। তাই বিশ্বস্ত এজেন্ট খুঁজতেই বিজেপিকে বেগ পেতে হচ্ছে। দলের এক নেতা বলেন, কয়েকদিন ধরেই কাউন্টিং এজেন্টের খোঁজ চলছে। বৃহস্পতিবারও তা নিয়ে বৈঠক হয়। কিন্তু এজেন্টদের তালিকা তৈরি হয়নি। এজেন্টদের দলের পক্ষ থেকে আলাদা প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়।
বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোটের দিন বহু বুথেই তারা এজেন্ট দিতে পারেনি। অনেকে আগ্রহ দেখিয়ে পিছিয়ে গিয়েছিলেন। গণনা কেন্দ্রে তেমনটা হলে সব হিসেবই বদলে যেতে পারে। সেই কারণেই বিশ্বস্ত সৈনিক ছাড়া কাউকে এজেন্ট করা যায় না। বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী অসীম সরকার বলেন, গণনা কেন্দ্রে আমাদের বিশ্বস্ত এজেন্টরাই থাকবেন। তৃণমূলের কোনও কৌশল কাজে আসবে না। ওরা কী ধরনের চালাকি করতে পারে, তা জানা হয়ে গিয়েছে। আমাদের এজেন্ট তৈরি আছে।
তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, বিজেপি হারার ভয়ে এখন থেকে নানা ধরনের অজুহাত তৈরি করে রাখছে। গণনা কেন্দ্রে কোনও কৌশল নেওয়া যায় না। স্বচ্ছভাবে গণনা হয়। তাতেই দু’টি লোকসভা কেন্দ্রে বিপুল ভোটে হারবে বিজেপি।
বিজেপি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, পূর্ব বর্ধমান জেলার দু’টি লোকসভা কেন্দ্রেই দলের বিশ্বস্ত সৈনিকের অভাব রয়েছে। সেই কারণেই দিলীপবাবুকে তাঁর নিজের টিম নামাতে হয়েছিল। তাঁরাই বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রচার করেছিলেন। প্রচারের কৌশলও তাঁরাই ঠিক করে দিয়েছিলেন। ভোটের দিন দিলীপবাবু জেলার নেতাদের উপর ভরসা করে ফল উল্টো হয়েছিল। দিলীপবাবু নিজেই জেলার নেতাদের উপর ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন। তিনি ভোট শেষে জানিয়েছিলেন, শহরের নেতারা শুধু বিভ্রান্ত করেছেন। তাঁরা কোনও কাজই করেনি।
এই নেতাদেরই গণনা কেন্দ্রে পাঠাতে হবে। তাঁদের মধ্যে বিশ্বস্ত কে রয়েছেন, তা খুঁজতেই নেতৃত্বকে বেগ পেতে হচ্ছে। দলের এক নেতা বলেন, যাঁদের এজেন্ট করে পাঠানো হবে, তাঁদের গতিবিধির উপর নজরদারি চালানো হবে। গণনা কেন্দ্রে নির্দল প্রার্থীর এজেন্টরা থাকবে। তাঁরাও বিষয়টি দেখবেন। আগে থেকে পরিকল্পনা করেই নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানো হয়েছিল।