বিদ্যায় অগ্রগতি ও নামী প্রতিষ্ঠানে বিদ্যা লাভের সুযোগ পেতে পারেন। ব্যবসায় শুভ ও আয় বৃদ্ধি। ... বিশদ
অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় কৃষ্ণা মাস দেড়েক আগে বাপেরবাড়ি এসেছিলেন। চার সপ্তাহ আগে হাসপাতালে একটি কন্যাসন্তান হওয়ার পর তিনি বাপেরবাড়িতেই ছিলেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন দুপুরে ভাত খাওয়ার পর কৃষ্ণা কন্যাসন্তানকে ঘুম পাড়িয়ে নিজে একটি ঘরে টিভি দেখছিলেন। সেই সময়ই কৃষ্ণার ভাই লক্ষ্মীকান্ত প্রায় দেড় ফুট লম্বা একটি ধারালো অস্ত্র নিয়ে পিছন দিক থেকে দিদির মাথার উপর কোপ মারে। তিনি সঙ্গে সঙ্গে মেঝেতে লুটিয়ে পড়েন। রুমের মেঝে রক্তে ভেসে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।লক্ষ্মীকান্ত লকডাউনের সময় নাড়াজোল কলেজে চতুর্থ সেমেস্টারে পড়তে পড়তে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। সেই থেকেই সে বাড়িতে থাকে। কোনও কাজ করত না। কেন লক্ষ্মীকান্ত হঠাৎ করে তার দিদিকে খুন করল তা নিয়ে পুলিস জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে।তবে প্রতিবেশীরা জানান, দিদি ও ভাইয়ের মধ্যে সামান্য বিষয় নিয়ে প্রায়ই ঝগড়া হতো। সেটা এত বড় আকারে পৌঁছবে, তা তাঁরা ভাবাও যাচ্ছে না। কৃষ্ণার মা চম্পা বোধুক বলেন, আমার স্বামী আমার উপর প্রায়ই অত্যাচার করে। কিছুদিন আগে ওই ধারালো অস্ত্রটি কেনার সময় আমাকে স্বামী খুন করার হুমকি দিয়েছিল। সেই অস্ত্রেই আমার মেয়ে খুন হল। পুলিস এদিন কৃষ্ণার বাবা সুকুমার বোধুককে থানায় নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসবাদ করে।