নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্রাম: ঝাড়গ্রামে জঙ্গলের মধ্যে এক ব্যক্তির পচাগলা দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল। হাতির হানায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে পুলিসের অনুমান। বনদপ্তর জানিয়েছে, মৃতের নাম ঝড়েশ্বর শবর(৪৫)। তাঁর বাড়ি ঝাড়গ্রাম ডিভিশনের পুকুরিয়া বিটের গিরা গ্রামে। এই ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। ভোটের মুখে হাতির হানায় এই মৃত্যুর ঘটনায় উদ্বিগ্ন গ্রামবাসীরা। বনদপ্তরের আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, গত তিন-চারদিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন ঝড়েশ্বর। ওই এলাকায় জঙ্গলে হাতি ছিল। এর ফলে হাতির হানায় মৃত্যু হয়েছে। এদিন ঝাড়গ্রাম পুলিস মর্গে মৃতদেহ ময়নাতদন্ত করা হয়। পুলিস ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। একইসঙ্গে ফসল নষ্ট হয়েছে ২৬৪ হেক্টর জমির। ইতিমধ্যেই রাজ্যের তরফে ৭৩ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। বুধবার সকালে গিরার জঙ্গলে যান স্থানীয় বাসিন্দারা। সেখানে তাঁরা ওই ব্যক্তির পচাগলা দেহ পড়ে থাকতে দেখেন। খবর পেয়ে ঝাড়গ্রাম থানার পুলিস ঘটোস্থলে গিয়ে দেহটি উদ্ধার করে। এরপর স্থানীয় বাসিন্দারা ওই ব্যক্তির দেহ শনাক্ত করেন।
জানা গিয়েছে, ঝাড়গ্রাম ডিভিশন এলাকায় ৭৩টি হাতি রয়েছে। ঝাড়গ্রাম, শালবনী এলাকায় ছ’টি, বৃন্দাবনপুরে তিনটি, বসন্তপুরে ১৮টি, খাসজঙ্গলে ১৬টি, পুকুরিয়া এলাকায় একটি, ভাওদা এলাকায় তিনটি, আওলিগেড়িয়া এলাকায় ১০টি, মানিকপাড়া, গোলবান্ধি এলাকায় তিনটি, বেলপাহাড়ী, কোদোপাল এলাকায় দু’টি, জিতুশোল এলাকায় দু’টি হাতি রয়েছে। বিপুল হাতি থাকায় আতঙ্কিত রয়েছেন গ্রামবাসীরা।ঝাড়গ্রামের ডিএফও পঙ্কজ সূর্যবংশী বলেন, জঙ্গল থেকে একজনের দেহ উদ্ধার হয়েছে। হাতির হানায় মৃত্যু হতে পারে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। সেই রিপোর্ট হাতে আসার পরই মৃত্যুর সঠিক কারণ সম্পর্কে জানা যাবে।