কাজকর্মের ক্ষেত্রে যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে। ক্রীড়াবিদদের সাফল্য লাভের সম্ভাবনা। পারিবারিক ক্ষেত্রটি মোটামুটি থাকবে। ... বিশদ
নওদা কেন্দ্রের প্রার্থীরা রাজনীতির ময়দানে নবাগত নন। এখানে তৃণমূলের শাহিনা মমতাজ বেগম। নওদা এলাকায় তাঁর বাড়ি। মালদহের সুজাপরে কংগ্রেস পরিবারে তাঁর জন্ম। তিনি উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। পরবর্তীতে নওদার প্রয়াত বিধায়ক তথা কৃষিমন্ত্রী নাসিরুদ্দিন খান ওরফে মন্টু খানের ছেলে টিপু খানের সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। টিপু খান দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের সঙ্গে যুক্ত। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে শাহিনা নওদায় জেলা পরিষদের ৬৬নম্বর আসন থেকে জয়ী হন।
এই কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সুনীল মণ্ডলের বাড়ি আমতলায়। ছাত্র জীবন থেকেই তিনি কংগ্রেস রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিএসসি পাশ করার পর দীর্ঘদিন একটি হাই স্কুলে শিক্ষকতা করেন। বহুদিন কংগ্রেসের সেবাদলের দায়িত্ব সামলেছেন। প্রায় এক বছর ধরে কংগ্রেসের নওদা ব্লক সভাপতির দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। ভোটের ময়দানে এই প্রথম নেমেছে।
আরএসপি প্রার্থী সিরাজুল ইসলাম মণ্ডলও রাজনীতির আঙিনায় পরিচিত নাম। চাঁদপুরের এলামনগরে তাঁর বাড়ি। একাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। ২০০৮-’১৩ সাল পর্যন্ত তিনি জেলা পরিষদের সহকারী সভাধিপতি ছিলেন। এরপর ২০১১সালে এবং ২০১৩সালের উপনির্বাচনে রেজিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করেন তিনি। আরএসপির জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।
বিজেপি প্রার্থী অনুপম মণ্ডল ভোটের ময়দানে নবাগত হলেও রাজনীতির ময়দানে অনেকদিন ধরেই রয়েছেন। তিনি ব্যবসায়ী, সর্বাঙ্গপুরে বাড়ি। উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত পড়াশোনা করেছেন। বর্তমানে তিনি নওদায় দলের ৬৫নম্বর মণ্ডল কমিটির সভাপতি।
অন্যদিকে, কান্দির তৃণমূল প্রার্থী গৌতম রায় পোড় খাওয়া রাজনীতিবিদ। ১৯৮১সালে ডানপন্থী ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে হাতে খড়ি। তিনবছর আগে তৃণমূলে যোগদান করেন। দু’বছর ধরে শাসকদলের কান্দি মহকুমা সভাপতি পদে রয়েছেন। গৌতমবাবু তিনবারের কান্দি পুরসভার কাউন্সিলার। গত পুরবোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন। মাধ্যমিক পাশ গৌতমবাবু দু’টি বেসরকারি কলেজের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।
এই কেন্দ্রের সিপিআই প্রার্থী দেবজ্যোতি রায় ছাত্রাবস্থায় এসএফআই করেন। পরে আইপিএফে যোগদান করেন। ১৯৮৬সালে দল ছেড়ে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রথম কান্দি পুরসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। ১৯৯২সালে সিপিআইএমএল(লিবারেশন) দলে যোগদান করেন। ২০১০সালে ফের দল ছাড়েন। কয়েকদিন আগে সিপিআইয়ে যোগদান। দেবজ্যোতিবাবু কান্দি পুরসভার দু’বারের নির্দল কাউন্সিলার। উচ্চমাধ্যমিক পাশ, পেশায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক।
অন্যদিকে, কংগ্রেস প্রার্থী সফিউল আলম খান ১৯৮১সালে এসএফআইয়ের হাত ধরে ছাত্র রাজনীতিতে প্রবেশ করেন। ১৯৮২সালে আরএসপিতে যোগদান করেন। বছরখানেকের মধ্যেই দল ছেড়ে নকশাল আন্দোলনে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৯২সালে কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে শুরু করেন। পরে সরাসরি কংগ্রেসে যোগ দেন। পরে কয়েকবছরের জন্য রাজনৈতিক সন্ন্যাস নেন। গতবছর ফের কংগ্রেস দলে যুক্ত হয়ে কান্দি মহকুমা সভাপতি পদে রয়েছেন। মাধ্যমিক পাশ সফিউল সাহেব পেশায় ব্যবসায়ী।
বিজেপি প্রার্থী সনৎ মণ্ডল ১৯৯০সাল থেকে সরাসরি বিজেপি দলে যুক্ত হয়ে রাজনীতি শুরু করেন। তবে দলের কোনও পদে নেই। মাধ্যমিক পাশ সনৎবাবু মাছের ব্যবসা করেন। সনৎবাবুর বাড়ি কান্দি ব্লকের জীবন্তি গ্রামে। এর আগে তিনি কোনওদিন কোনও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি। অত্যন্ত পরিশ্রমী হিসেবে এলাকায় পরিচিত।