বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এ ব্যাপারে কাটোয়ার মহকুমা শাসক তথা অ্যাসিস্ট্যান্ট রিটার্নিং অফিসার সৌমেন পাল বলেন, বেশকিছু রাজনৈতিক দল লিখিতভাবে আমাদের জানিয়েছে, সব বুথকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করা হোক। কিন্তু, এভাবে সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা যায় না। তাই ওদের আমরা বলেছি, নির্দিষ্টভাবে স্পর্শকাতর বুথের তালিকা জমা দিতে হবে।
এদিন দুপুরে কাটোয়া মহকুমা শাসকের দপ্তরে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকা হয়। বৈঠকে শাসকদল তৃণমূল সহ বাম, কংগ্রেস, বিজেপি ছাড়াও অন্যান্য রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন। কীভাবে নির্বাচন স্বচ্ছ ও অবাধ করা যায় ও রাজনৈতিক দলগুলি ঠিক কী ধরনের ভূমিকা পালন করবে, মূলত তা নিয়েই বৈঠকে আলোচনা করা হয় বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এর পাশাপাশি স্পর্শকাতর বুথের তালিকা দিতে বলা হয় প্রশাসনের তরফে। তারপরই বিজেপির তরফে লিখিতভাবে মহকুমা শাসককে জানানো হয়, কাটোয়া মহকুমার কাটোয়া, মঙ্গলকোট ও কেতুগ্রাম, এই তিন বিধানসভা এলাকার সব বুথকেই স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। এদিকে বিজেপির এই দাবিকে সিপিএম সহ সব বিরোধী দল সমর্থন জানায়।
জেলার বিজেপি নেতা অনিল দত্ত বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে ব্যাপক সন্ত্রাস হয়েছে। সেই নিরিখে যাতে সব বুথকে স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়, তারজন্য আমরা লিখিতভাবে মহকুমা শাসককে জানিয়েছি। এরপর আমরা এই লিখিত দাবি দিল্লিতে কেন্দ্রীয় মুখ্য নির্বাচন কমিশনের কাছে পাঠিয়ে দেব। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনীকে যাতে প্রতিটি বুথে রাখা যায়, সেই দাবিও আমরা জানিয়েছি।
কাটোয়ার সিপিএম নেতা অঞ্জন চট্টোপাধ্যায় বলেন, সব বুথ স্পর্শকাতর হিসেবে ঘোষণা না করলে বিরোধী শিবিরের ভোটাররা ভোট দিতে যেতে পারবেন না। তার নমুনা আমরা ২০১১ সালের পর থেকেই কাটোয়ায় দেখছি। গত পঞ্চায়েত নির্বাচনেও মহকুমার কোথাও আমরা মনোনয়নপত্র তুলতে পারিনি। এরপরেও যদি স্পর্শকাতর হিসেবে মহকুমার সব বুথকে ঘোষণা না করা হয়, তাহলে আমরা ভোট দিতে যেতে পারব না।
এদিকে বিরোধীদের এই দাবিকে উড়িয়ে কাটোয়ার তৃণমূল বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, কোনও বুথকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করার প্রয়োজন নেই। গোটা মহকুমাতেই শান্তি বিরাজ করছে। কোথাও কোনও গণ্ডগোলের আশঙ্কা নেই। অর্থাৎ শান্তিপূর্ণভাবেই মহকুমায় ভোট হবে। মঙ্গলকোটের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অপূর্ব চৌধুরী বলেন, বিরোধীরা ভোটে হেরে যাওয়ার ভয়েই এসব ভুল বকছে।
প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া মহকুমার তিন বিধানসভার মোট পোলিং বুথের সংখ্যা ৮৭২টি। তার মধ্যে কাটোয়া বিধানসভার মোট পোলিং বুথের সংখ্যা ২৯৭টি, কেতুগ্রাম বিধানসভায় রয়েছে ২৯২টি এবং মঙ্গলকোট বিধানসভার জন্য মোট ২৮৩টি পোলিং বুথ করা হয়েছে। পাশাপাশি তিন বিধানসভা এলাকার মোট সেক্টর করা হয়েছে ৮২টি। এর মধ্যে কাটোয়া বিধানসভার মোট সেক্টর ২৬টি, কেতুগ্রাম বিধানসভার মোট সেক্টর ২৮টি এবং মঙ্গলকোট বিধানসভার মোট সেক্টর ২৮টি করা হয়েছে। এছাড়া কাটোয়া মহকুমার তিন বিধানসভার মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭২১ জন। তারমধ্যে মহিলা ভোটারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৪৯ জন ও পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৭৫২ জন।
মহকুমা প্রশাসন জানিয়েছে, নির্বাচন যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়, তারজন্য যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, তাই করা হবে। পাশাপাশি কোথাও বিরোধীদের পক্ষ থেকে অভিযোগ পেলেই ৬ ঘণ্টার মধ্যে সেই অভিযোগের সঠিক সমাধান করা হবে।