বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
বর্ধমানের কৃষি অধিকর্তা জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, রায়নার দু’টি মৌজায় অতিবর্ষণে আলু নষ্ট হয়েছে। তবে, তার জন্য বিমার ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া সরকার সহায়ক মূল্যে আলু কিনছে। কাজেই চাষে লোকসানের কারণে আত্মহত্যার অভিযোগ ঠিক নয়। এর পিছনে পারিবারিক অশান্তি থাকতে পারে। তা-ও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব।
পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, এবছর তিনি তিন বিঘা জমিতে ভাগচাষ করেন। তার মধ্যে আড়াই বিঘা জমিতে আলু ও বাকি জমিতে পেঁয়াজ ও লঙ্কাচাষ করেন। চাষের জন্য মহাজনের কাছ থেকে টাকা ধার করেন। এছাড়াও তিনি ধারে সার ও কীটনাশক কেনেন। অতি বর্ষণ ও শিলাবৃষ্টির কারণে অনেক আলু নষ্ট হয়ে যায়। পেঁয়াজ ও লঙ্কারও ক্ষতি হয় বৃষ্টিতে। তাছাড়া আলুর দামও এবার কম। আলুচাষে লোকসানের পাশাপাশি দেনা শোধের দুশ্চিন্তাও ছিল তাঁর। মৃতের দাদা তপন মালিক বলেন, চাষে লোকসান ও দেনা শোধের দুশ্চিন্তায় ভাই আত্মঘাতী হয়েছে।
অন্য একটি ঘটনায় খণ্ডঘোষ থানার বাঁকুড়া মোড় এলাকায় মেশিনে চাপা পড়ে তেলকলের এক ঠিকাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম পল্টু খাঁ ওরফে বরুণ (৪০)। বর্ধমান শহরের সরাইটিকরের আমতলায় তাঁর বাড়ি। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার দুপুরে তেলকলে কাজ করার সময় আচমকা মেশিন খুলে তাঁর গায়ে পড়ে। তাতে তিনি গুরুতর জখম হন। তেলকলের অন্য কর্মীরা তাঁকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপর একটি ঘটনায় জামালপুর থানার কেউটা গ্রামে কীটনাশক খেয়ে এক প্রৌঢ় আত্মঘাতী হয়েছেন। মৃতের নাম সমীর কুমার কোঙার (৫২)। তাঁর একটি পোল্ট্রি ফার্ম রয়েছে। বুধবার সকালে বাড়িতে তিনি কীটনাশক খান। তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যায় তিনি মারা যান। কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি পরিবারের লোকজন। পুলিসও এ ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেনি।
অন্যদিকে, মেমারি থানার শালিগ্রামে ভুল করে কেরোসিন খেয়ে নেওয়ায় এক দেড় বছরের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। মৃত শিশুটির নাম রুদ্র মাখাল। মঙ্গলবার সকালে শিশুটি বাড়িতে রাখা কেরোসিন খেয়ে ফেলে। পরিবারের লোকজন তাকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসেন। বুধবার বিকালে শিশুটি মারা যায়।
অপরদিকে, মেমারি থানার বিজুরে এক ব্যক্তির অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার দুপুরে ঘরের বাঁশের কাঠামোয় নাইলনের দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম বিশ্বজিৎ সিং (৪০)। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পুলিসের অনুমান। তবে, কী কারণে তিনি আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিস।