বিদ্যায় অধিক পরিশ্রম করতে হবে। ব্যবসায় যুক্ত ব্যক্তির পক্ষে দিনটি শুভ। প্রেম-প্রীতিতে আগ্রহ বাড়বে। নতুন ... বিশদ
এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে সিপিএম প্রার্থী করছে গতবারের জয়ী সংসদ সদস্য বদরুদ্দোজা খানকে। গত লোকসভা ভোটে এই কেন্দ্রে বদরুদ্দোজা খান কংগ্রেসের মান্নান হোসেনকে ১৮ হাজার ৪৩৫ ভোটে হারিয়ে জয়ী হন। সেবার তৃণমূলের প্রার্থী মহম্মদ আলি পেয়েছিলেন তৃতীয় স্থান। বিজেপি ছিল চতুর্থস্থানে। এই লোকসভা আসনে ৩০ বছর ধরে আছে সিপিএম। এখানে মূল লড়াই সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের। এবার কংগ্রেস-বামেরা জোট করে লড়াই করতে পারে। যদিও এখনও আসনজটে আটকে আছে সমঝোতা। শেষ পর্যন্ত কী হয় তা নিয়ে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে করিমপুরের মানুষ। গত লোকসভা ভোটে করিমপুর বিধানসভায় সিপিএম প্রার্থী এগিয়ে থাকলেও ২০১৬ সালের বিধানসভায় তৃণমূলের মহুয়া মৈত্র সিপিএমের সমরেন্দ্রনাথ ঘোষকে হারিয়ে জয়ী হন। জয়ী হয়ে দু’বছরে করিমপুরে অনেক উন্নয়ন করায় এই কেন্দ্রে তৃণমূলই এগিয়ে আছে বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। এই লোকসভা কেন্দ্রে জোট সমঝোতা হলে কিছুটা হলেও সুবিধা পাবেন জোটপ্রার্থী। আর যদি কংগ্রেস প্রার্থী দেয়, তবে এর সুবিধা পাবে তৃণমূল। এই কেন্দ্রে এখনও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। কে বিজেপি প্রার্থী হবেন তা নিয়ে মানুষের যেমন আগ্রহ আছে, তেমনই বাম-কংগ্রেস জোট হল কি না তা-ও নজরে রাখছে এই এলাকার মানুষ। বিজেপির মুর্শিদাবাদ জেলা সহ সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, নিজেদের সুবিধার্থে দল ছেড়েছেন কংগ্রেসের মান্নান হোসেন ও সিপিএমের মইনুল হাসান। জলঙ্গির সিপিএম বিধায়ক তৃণমূলে চলে যাওয়ায় মানুষ সব বুঝতে পারছেন। তিনি আরও বলেন, সিপিএমের শক্ত ঘাঁটি করিমপুরে এবার আমাদের সঙ্গে তৃণমূলের লড়াই হবে। এবার পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গুন্ডাগিরি রুখে দিয়ে করিমপুর এলাকায় আমাদের ভালো ফল হয়েছিল। সেই ফল আমরা লোকসভা ভোটেও ধরে রাখব। খুব তাড়াতাড়ি আমাদের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হবে। যদিও বিজেপির দাবি উড়িয়ে করিমপুর-১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি তথা জেলা পরিষদের সদস্য তরুণ সাহা বলেন, গত দু’বছরে তৃণমূলের বিধায়ক যা কাজ করেছেন তা বিগত দিনে হয়নি। তিনি বিভিন্ন খাতে ১৫৫ কোটি টাকা করিমপুরের উন্নয়নের জন্য নিয়ে এসেছিলেন। তাই এই বিধানসভার মানুষের সমর্থন থাকবে আবু তাহেরের দিকেই। এই কেন্দ্রের বিধায়ক মহুয়া মৈত্র কৃষ্ণনগর লোকসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হয়েছেন। করিমপুরের ভোটাররা এলাকার উন্নয়নের জন্য তৃণমূলের পাশে থাকবে।