প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
পুজো কমিটির সদস্য দেবাশীষ মুন্সী বলেন, আগে রঘুনাথপুরের এই এলাকা জঙ্গলাকীর্ণ ছিল। ডাকাতের দল অস্থায়ী ছাউনি বানিয়ে পুজো করে রাতেই বিসর্জন দিয়ে চলে যেত। পরবর্তীতে আমাদের বাবা, কাকারা সেই পুজো করে আসছেন। এই তারা মা খুব জাগ্রত। এবারও নানা ধরনের আয়োজন করা হয়েছে। বালুরঘাট শহর ঢুকতেই রঘুনাথপুর এলাকার আত্রেয়ী নদীর ধারে গাছ-গাছালিতে ভরা একটি ছোট জায়গায় তারা মায়ের বেদি রয়েছে। ডাকাত দলের রীতি অনুযায়ী আজও সেখানে কোনও স্থায়ী আসন বা মন্দির তৈরি করা হয়নি। প্রতি বছর পুজোর দিন খড়ের অস্থায়ী ছাউনি গড়ে বৈষ্ণব মতেই তারা কালীর পুজো করা হয়।
এলাকার প্রবীণদের একাংশের কথায়, কেউ যাতে টের না পায়, সেজন্য জঙ্গলে ভরা এই এলাকায় ডাকাতের দল পুজো করে ডাকাতি করতে যেত। সাধারণত ডাকাত দলের পুজোয় বলি দেওয়ার রীতি থাকলেও এখানকার ডাকাতরা সে পথে হাঁটত না। তাই এখানে তারা মায়ের পুজোতে বলি দেওয়া হয় না। ডাকাত দলের পুজোর রীতি আজও ধরে রেখেছেন এলাকাবাসীরা। এবার আলোকসজ্জার পাশাপাশি পুজো ঘিরে নানা আয়োজন হয়েছে। বিসর্জনের পর ভোরবেলায় প্রসাদ বিতরণ করা হয়।