প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
হোম সূত্রে খবর, ওই কিশোর ২০১৫ সাল থেকে রয়েছে। বিকেলে খেলাধুলো করেছিল। তখন অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়েনি। ফলে কেন এমন করল, তা নিয়ে রহস্য বাড়ছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও রাজস্ব) হারিস রাসিদ, চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন মন্দিরা রায় সহ পুলিস আধিকারিকরা। অতিরিক্ত জেলাশাসক ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে আসেন ডিএসপি হেডকোয়ার্টার বিক্রম প্রসাদ, আইসি শান্তিনাথ পাঁজা সহ অন্যরা।
অতিরিক্ত জেলাশাসক বলেন, হোমে যে ধরনের সাবধানতা ও সতর্কতা নেওয়া প্রয়োজন, সবই ছিল। সিসি ক্যামেরাও রয়েছে। ওই কিশোর শৌচালয়ে গিয়েছিল। সেখান থেকেই ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। পুলিসকে তদন্ত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিশোরের দেহে আঘাত বা অন্য কোনও চিহ্ন রয়েছে কি না দেখা হচ্ছে।
চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটির চেয়ারপার্সন মন্দিরা রায় বলেন, কেন, কীভাবে মৃত্যু হল, কেউ বুঝতে পারছি না।
পুলিস ও প্রশাসন সূত্রে খবর, কিশোর একেবারে ছোট্ট বয়সে মালদহ স্টেশনে ভবঘুরেদের মতো ঘুরছিল। সেখান থেকে মালদহের একটি হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। ২০১৫ সালে তাকে বালুরঘাটের শুভায়ন হোমে পাঠানো হয়। নবম শ্রেণির পড়ুয়া ওই কিশোর শান্ত স্বভাবের ছিল বলে জানা গিয়েছে। এদিকে ওই হোমের কয়েকজন সঙ্গীর আধারকার্ড করতে গিয়ে তাদের পরিবারের হদিশ পাওয়া যায়। কয়েকজনকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তখন থেকে কার্যত সঙ্গীহীন হয়ে পড়ে কিশোর। বুধবার আরও এক কিশোরের পরিবার এসে বাড়ি নিয়ে চলে যায়। সেই কারণে কিশোর মানসিক অবসাদে ভুগছিল কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিস।
জেলার ওই সরকারি হোমে প্রায় ৫০ জনের বেশি শিশু ও কিশোর রয়েছে। বেশিরভাগ ভারতীয়, দু’চারজন বাংলাদেশি রয়েছে। প্রয়োজন হলেই কিশোর ও শিশুদের কাউন্সেলিং করা হয়। তবে এই কিশোরের মানসিক অবসাদ ছিল কি না টের পায়নি হোম কর্তৃপক্ষ।