প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
জমিদার খাউচাঁদ প্রথমে আট চালার ঘরে মায়ের পুজো শুরু করেন। তাঁর মৃত্যুর পর ছেলে মণীন্দ্রনাথ কার্জি স্থায়ী মন্দির তৈরি করে মায়ের পুজো শুরু করেন। জমিদারের ছেলে মণীন্দ্র কার্জি মন্দির তৈরির পাশাপাশি মায়ের নামে ৭৫ বিঘা জমি দান করেন। সেই জমিতে চাষাবাদ করছেন কার্জি বংশের উত্তরসুরীরা। তাঁরা মায়ের পুজোর জন্য বাইরে থেকে এক পয়সাও চাঁদা সংগ্রহ করেন না। সেই জমির ফসল বিক্রির টাকা দিয়েই মায়ের পুজো হয়।
পরবর্তীতে মায়ের পুজোর জন্য কার্জি বংশের সদস্যদের নিয়ে গঠন করা হয় শ্রীশ্রী ঈশ্বরী কালীমাতা ওয়েলফেয়ার সোসাইটি। এই সোসাইটির অধীনেই এখন মায়ের পুজো হয়ে আসছে। শালকুমারের কার্জি বংশের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ ছিল অসমের গৌরীপুরের জমিদার প্রকৃতিষ বড়ুয়ার। এই প্রকৃতিষ বড়ুয়ারই কন্যা বিখ্যাত ভাওয়াইয়া শিল্পী প্রতিমা বড়ুয়া ও হস্তিবিশারদ পার্বতী বড়ুয়া। জমিদার প্রকৃতিষ বড়ুয়ার দাদা ছিলেন কলকাতার নিউ থিয়েটার্স হলের প্রতিষ্ঠাতা প্রথমেশ বড়ুয়া। কার্জি বংশের নথি থেকে জানা যায় প্রকৃতিষ বড়ুয়া মাঝে মাঝে মেয়েদের নিয়ে জলদপাড়ায় এলে শালকুমারে জমিদার মণীন্দ্রবাবুর বাড়িতে আতিথেয়তা গ্রহণ করতেন।
শালকুমারের শ্রীশ্রী ঈশ্বরী কালীমাতার গায়ে রং কালো। বংশের এক সদস্য সুবল কার্জি বলেন, পুজো উপলক্ষ্যে শুক্রবার ভোর থেকে ভক্তদের মানত করা শতাধিক পাঁঠা বলি হবে। আর পায়রা ও হাঁস যে কত বলি হয় তার কোনও হিসেব থাকে না। নিম্ন অসম ও গোটা ডুয়ার্স থেকে ভক্তরা এখানে আসেন। পুজোর পরেই মায়ের প্রতিমার বিসর্জন হয়।