প্রায় সম্পূর্ণ কাজে আকস্মিক বিঘ্ন আসতে পারে। কর্মে অধিক পরিশ্রমে স্বাস্থ্যহানির আশঙ্কা। ... বিশদ
এছাড়াও মেডিক্যালের চারপাশে যেভাবে আবর্জনার স্তূপ জমেছে, তাতেও ক্ষিপ্ত অনেকে। ফ্রিজার বিকল থাকার বিষয়টি স্বীকার করে নিয়েছে মেডিক্যাল কর্তৃপক্ষও। তবে তাদের দাবি, এতদিন বরাদ্দের অভাবে ফ্রিজারগুলি মেরামত বা পরিবর্তন করা সম্ভব হয়নি। সম্প্রতি নতুন ফ্রিজারের জন্য সরকারি বরাদ্দ মঞ্জুর হয়েছে। আশা করা যায় দ্রুত টেন্ডার করে নতুন ফ্রিজারের বন্দোবস্ত করা যাবে।
মালদহ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের উপাধ্যক্ষ তথা সুপার ডাঃ প্রসেনজিৎ বর বলেন, আটটি ফ্রিজার রয়েছে মেডিক্যালে। পাঁচটি ময়নাতদন্ত বিভাগে, দুটি অ্যানাটমিতে এবং একটি ওয়ার্ড মাস্টার অফিসে রয়েছে। প্রতিটি ফ্রিজারে ছয়টি করে দেহ সংরক্ষণ করে রাখা যেতে পারে। সব মিলিয়ে একসঙ্গে ৪৮টি দেহ সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু ছ’টি ফ্রিজার প্রায় এক বছর বিকল।
প্রসেনজিত্ জানান, জেলা প্রশাসন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে। সম্প্রতি অর্থ বরাদ্দ হয়েছে ফ্রিজারের জন্য। এর মধ্যে একদিন বিষয়টি দেখে গিয়েছেন সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মীরা। টেন্ডার প্রক্রিয়া সেরে নতুন ফ্রিজারের বন্দোবস্ত দ্রুত করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মেডিক্যালের ফ্রিজার খারাপ থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা। ইংলিশবাজারের পূজাশ্রী সোম বলেন, মেডিক্যালে অনেকে আউটডোরে দেখাতে যান। কিন্তু চারপাশে বায়ো মেডিক্যাল ওয়েস্ট পড়ে থাকায় দুর্গন্ধ সহ্য করা কঠিন হয়ে ওঠে। ফ্রিজার খারাপ রয়েছে বলে শুনেছি। কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
মেডিক্যাল থেকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে থাকেন অমিত ভট্টাচার্য। তাঁর কথায়, দুর্গন্ধে প্রাণ ওষ্ঠাগত। পরিবারের সদস্যরা মনে হয় এরপর দুর্গন্ধে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। দ্রুত ফ্রিজার ঠিক করুক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। নিয়মিত বর্জ্য সরিয়ে সাফসুতরো রাখা হোক মেডিক্যাল চত্বর।
কবে সবক’টি ফ্রিজার বদল বা সারাই হয়ে আগের মতো কাজ করবে, তা নিয়ে এখনও স্পষ্ট কোনও বার্তা মেলেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দিক থেকে।