সংবাদদাতা, ধূপগুড়ি: জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে সাঁকো। এনিয়ে সমস্যায় পড়েছেন ধূপগুড়ি ব্লকের দু’টি পঞ্চায়েতের কয়েক হাজার বাসিন্দা। সাঁকো ভেসে যাওয়ায় তাঁদের ১৩ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছে। ভুটান পাহাড় ও সমতলে ভারী বৃষ্টির জেরে জলস্ফীতি হয়েছে ডুয়ার্সের নদীগুলিতে। শনিবার রাতভর একটানা বৃষ্টিতে জল বেড়েছে ধূপগুড়ির ডুডুয়া নদীর। এজন্য সাকোয়াঝোরা-১ ও ২ নম্বর পঞ্চায়েতের মধ্যে সংযোগকারী ডুডুয়া নদীর উপর থাকা চিলারঘাটের সাঁকো রবিবার সকালে জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে। ফলে সাকোয়াঝোরা-১ নম্বর পঞ্চায়েতের আঙরাভাসা, তেলিপাড়া, দক্ষিণ সাকোয়াঝোরা এবং সাকোয়াঝোরা-২ নম্বর পঞ্চায়েতের পূর্ব মল্লিকপাড়া, মল্লিকপাড়া, গোঁসাইরহাট সহ গোটা এলাকার বাসিন্দারা সমস্যায় পড়েছেন। যাতায়াতের শেষ ভরসা বলতে এখন নৌকা। কিন্তু নদীতে এতটাই জল বেড়ে গিয়েছে যে, নৌকা চলানো সম্ভব হচ্ছে না। সাকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েতের ছাত্রছাত্রী ও কৃষকদের সব্জি বাজারে নিয়ে যেতে ১৩ কিমি ঘুরপথে যেতে হচ্ছে।
বিজয় দাস নামে স্থানীয় এক কলেজছাত্র বলেন, প্রতি বছর বর্ষায় বাঁশের সাঁকো ভেসে যায়। এরপর নৌকার উপর ভরসা করে আমাদের যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় বাসিন্দা রমেন রায় বলেন, সাকোয়াঝোরা-২নম্বর পঞ্চায়েতের বহু মানুষকে কৃষিকাজের জন্য নদীর ওপারে যেতে হয়। ওপারের সাকোয়াঝোরা-১ পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদেরও হাসপাতাল, স্কুল, কলেজ যেতে ভরসা এই সাঁকো। পবিত্র রায়, অতুল রায়ের মতো স্থানীয় বাসিন্দারা এই সমস্যার সমাধানে স্থায়ী সেতুর দাবি জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, প্রতি বছর বর্ষায় জলের তোড়ে সাঁকো ভেসে যায়। তবে ধূপগুড়ির বিডিও সঞ্জয় প্রধান বলেন, সাঁকো ভেসে যাওয়ার খবর পেয়েছি। এলাকায় পরিদর্শনে যাব। সমস্যার কথা স্থানীয়দের থেকে শুনব।