হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম রাজেন পরিয়াদ (৪২)। বাড়ি দার্জিলিংয়ের তিনধারিয়া থানা এলাকায়। তিনি বেঙ্গালুরুর একটি হোটেলে কাজ করতেন। ওই এক্সপ্রেসের সাধারণ কামরায় বাড়ি ফিরছিলেন। প্রচণ্ড ভিড় ছিল। ডানুকনি স্টেশন ছাড়ার পর রাজেনের শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। কর্তব্যরত টিকিট পরীক্ষক এসে তাঁকে কিছুটা সুস্থ করতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরায় নিয়ে যান। সেখানেই তিনি নিথর হয়ে পড়েন। বিকেল চারটে নাগাদ ট্রেনটি রামপুরহাট জংশনে পৌঁছতেই জিআরপির কর্মীরা তাঁকে নামিয়ে রামপুরহাট মেডিক্যালে নিয়ে আসেন। চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে মেডিক্যালের মর্গে আসেন পরিজনরা। মৃতের জামাইবাবু বিক্রম সেওয়া বলেন, রাত ন’টা নাগাদ জিআরপি ফোন করে মৃত্যুসংবাদ দেয়। তবে যা শুনলাম তাতে ট্রেনে চিকিৎসক থাকলে হয়তো শ্যালক বেঁচে যেতেন। তিনি বলেন, রেল কর্তৃপক্ষের উচিত গুরুত্বপূর্ণ দুরপাল্লার ট্রেনে চিকিৎসকের ব্যবস্থা করা। তাহলে এভাবে অন্য কাউকে বিনা চিকিৎসায় মৃত্যুর মুখে ঢলে পড়তে হবে না।
এই ঘটনায় রেলের গাফিলতির বিষয়টিও উঠে এসেছে। রামপুরহাট জিআরপির এক আধিকারিক বলেন, ডানকুনি স্টেশন ছাড়ার পর যখন ওই ব্যক্তি অসুস্থ হয়ে পড়েন, তখন তাঁকে কাছাকাছি কোনও স্টেশনে নামিয়ে হাসপাতালে পাঠানো যেত। সেটা না করে রামপুরহাট পর্যন্ত অপেক্ষা করা হল।
গত ২৭ মে গুয়াহাটি-বেঙ্গালুরু সাপ্তাহিক স্পেশাল ট্রেনেও একই ঘটনা ঘটেছিল। সংরক্ষিত কামরায় চেপে কলকাতায় আসছিলেন মালদহের মানিকচকের বাসিন্দা, সেনাকর্মী রিন্টু মণ্ডল। ট্রেনের মধ্যেই তাঁর বুকে ব্যাথা শুরু হয়। সহযাত্রীরা ট্রেনে কোনও চিকিৎসক রয়েছেন কি না, কর্তব্যরত টিটিইর কাছে জানতে চান। কিন্তু টিটিই জানিয়ে দেন, কোনও চিকিৎসক নেই। ওই অবস্থায় কিছুক্ষণ কাতরানোর পর মূত্যু হয় বছর সাঁইত্রিশের ওই সেনাকর্মীর।
রেলের এক আধিকারিক বলেন, দুরপাল্লার এক্সপ্রেস ট্রেনে চিকিৎসক থাকে না ঠিকই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ স্টেশনগুলিতে রেলের চিকিৎসক রয়েছেন।