হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
কয়েকদিন আগে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন বাজারে যে পটল ৩০-৩৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি হয়েছে, বর্ষা শুরু হতেই তা ৬৫-৭০ টাকায় গিয়ে ঠেকেছে। ৪০ টাকা কেজি ঝিঙে রবিবার ভেটাগুড়ির বাজারে বিক্রি হয় ৬০ টাকায়। লঙ্কার দাম ছিল প্রতি কেজি ১২০-১৩০ টাকা। করলা ৪০-৪৫ টাকা, বেগুন ৬০-৭০ টাকা, বরবটি ৪০-৬০ টাকা, টম্যাটো ৪০-৪৫ টাকা দরে বিক্রি হয় এদিন। একটি লাউ কমপক্ষে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে রবিবার।
বৃষ্টির জেরে নিচু জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় সব্জি গাছ মরে যাচ্ছে। তাই এই দাম বৃদ্ধি বলে জানান চাষিরা। দিনহাটার সাহেবগঞ্জের সব্জি চাষি আজগর আলি বলেন, আমি দেড় বিঘা জমিতে পটল চাষ করেছি। ক’দিনের বৃষ্টিতে খেতে জল জমে গিয়েছে। দ্রুত জমির জল না নামলে গাছ মরে যাবে। এই বৃষ্টিতে নিচু জমি তো বটেই, এখন অপেক্ষাকৃত অল্প উঁচু জমির সব্জিও রক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। যেসব গাছ টিকে আছে, তাতেও ফলন কমেছে। দেওয়ানহাটের চাষি তাপস দাস বলেন, এক বিঘা জমিতে ঝিঙে, ১০ কাঠা জমিতে লঙ্কা লাগিয়েছিলাম। বৃষ্টিতে জমিতে জল দাঁড়িয়ে গিয়েছে। সব গাছ মরে যাচ্ছে। অনেক ক্ষতি হল।
কোচবিহার জেলার উদ্যান পালন আধিকারিক সুবিমল মণ্ডল বলেন, একটানা বৃষ্টির জন্য অনেক সব্জি খেতে জল জমেছে। বৃষ্টির জল নামলেই সব্জি গাছ ব্যাক্টেরিয়ায় আক্রান্ত হবে। কৃষকদের খেত থেকে জল বের করে দেওয়ার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে বৃষ্টির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে সব্জির দাম। ভারী বৃষ্টি শুরু হলে আনাজ ছুঁতে হাত পুড়বে গৃহস্থের। দিনহাটা বাজারের সব্জি বিক্রেতা তপন দে, রানা রায় প্রমুখ বলেন, বৃষ্টির জন্য গ্রামে সব্জি মিলছে না। যতটুকু পাচ্ছি বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। সেই কারণে শহরের খুচরো বাজারে সব্জির দাম আগের থেকে কেজি প্রতি ১০-১৫ টাকা বাড়ছে। রবিবার দেওয়ানহাট পাইকারি বাজারে সব্জি কিনতে আসা এক সব্জি বিক্রেতা বলেন, হাটে পাইকারি ১২০ টাকা কেজি দরে লঙ্কা কিনতে হল। গাড়ি ভাড়া সহ অন্যান্য খরচজুড়ে খুচরো বাজারে তা বিক্রি করতে কেজিতে আরও ২০-৩০ টাকা বাড়াতে হবে। সব্জির জোগান নেই। আরও বৃষ্টি হলে দাম আরও বাড়বে।