হস্তশিল্পীদের কর্মে সাফল্য ও সুনাম। সন্তানের সঙ্গে মতবিরোধ হতে পারে। ধর্মকর্মে মনোযোগ বাড়বে। ... বিশদ
তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সাধারণ সম্পাদক তথা মাথাভাঙা-২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সাবলু বর্মন বলেন, গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে নেওয়ার পর একাধিক অনিয়ম করেছে। এক জায়গার উন্নয়নমূলক প্রকল্প অন্যত্র নিয়ে গিয়ে কাজ করা হয়েছে। একাধিক উন্নয়নমূলক কাজে বিজেপি নেতারা হস্তক্ষেপ করে অনিয়ম করেছে। এখন সাধারণ মানুষ এসব অনিয়মের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। প্রধানদের কাছে এসবের জবাব চাইছে। বিজেপি নিজেদের পিঠ বাঁচাতে আমাদের ঘাড়ে দোষ চাপাতে চাইছে। বিজেপি নেতারাই ভয় পেয়ে সাধারণ মানুষকে হুমকি দিচ্ছে, ভয় দেখাচ্ছে। আমাদের ফুলবাড়ি অঞ্চল সভাপতিকে মেরে হাত ভেঙে দিয়েছে ওরা। পুলিস প্রশাসনকে আমরা বলেছি নিরপেক্ষভাবে পদক্ষেপ নিতে।
বিজেপির মাথাভাঙার বিধায়ক সুশীল বর্মন বলেন, লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পর থেকে আমাদের দখলে থাকা ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে টার্গেট করে ধারাবাহিক অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল। আমাদের কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যকে হুমকি দিয়ে দলবদলে বাধ্য করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই একজন গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আবারও দলে ফিরে এসেছেন, বাকিরাও ফিরে আসবেন। তৃণমূলের লাগামহীন সন্ত্রাসের জবাব মানুষ আগামী নির্বাচনগুলিতে দেবে। আমাদের গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য ও দলীয় কর্মীদের ফাঁসাতে মিথ্যা মামলায় জড়ানো হচ্ছে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর মাথাভাঙা-২ ব্লকে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের হিড়িক পড়ে গিয়েছে। রুইডাঙা, পাড়ডুবি, ফুলবাড়ি, বড় শৌলমারি গ্রাম পঞ্চায়েতের কয়েকজন বিজেপি পঞ্চায়েত সদস্য দলবদল করে তৃণমূলে যোগদান করেন। দলবদল চলার মাঝেই বড় শৌলমারির এক পঞ্চায়েত সদস্যর আবারও বিজেপিতে ফিরে যাওয়াকে ঘিরে জোর চর্চা চলছে রাজনৈতিক মহলে। এরমধ্যে উনিয়বিশা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে তালা লাগানোকে ঘিরেও চলে রাজনৈতিক তরজা। প্রধান গিয়ে পঞ্চায়েত অফিসের সামনে ধর্নায় বসে পড়েন। অপরদিকে, লতাপোঁতা গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে প্রধানের চেম্বারে এখনও তালা লাগানো রয়েছে। তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক টানাপোড়েন।