মাতৃসূত্রে বিপুল অঙ্কে বিত্তলাভ হতে পারে। কর্ম ও ব্যবসায় ক্রমোন্নতি। ঈশ্বর চিন্তায় মনে শান্তিলাভ। ... বিশদ
সলসলাবাড়ি থেকে ফালাকাটা পর্যন্ত ৩১ডি জাতীয় সড়কে ফোর লেনের কাজ চলছে। ফালাকাটা ঢোকার আগে এই রাস্তায় সঞ্জয়, বুড়ি তোর্সা, চর তোর্সা ও দোলং, এই চারটি নদীর উপর কাঠের সেতু রয়েছে। কাঠের সেতুগুলি ভেঙে পাকা সেতু তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু ফোর লেনের মতো ওই সেতুগুলির কাজও দীর্ঘদিন ধরে অর্ধসমাপ্ত পড়ে রয়েছে।
সড়ক কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেতুগুলির পাশে অস্থায়ী ডাইভারশন করে দিয়েছে। সেদিক দিয়ে কোনওরকমে যোগাযোগ ব্যবস্থা চালু রয়েছে। কিন্তু প্রতিবছর বর্ষায় জলের তোড়ে ভেসে যায় ডাইভারশনগুলি। তখন আলিপুরদুয়ার ও ফালাকাটার মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরোপুরি। কোচবিহারের পুন্ডিবাড়ি দিয়ে ঘুরপথে তখন ফালাকাটা যেতে হয়। এতে অপচয় হয় সময় ও অর্থ।
একারণে বিভিন্ন মহলে দাবি উঠেছে, ফোর লেনের কাজের পাশাপাশি আগে সেতুগুলির নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষকে। মহাসড়ক গণসংগ্রাম কমিটি এই দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে পলাশবাড়ির কাছে শিসাগড় গোরুহাটিতে বৈঠকে বসছে আজ। কমিটির যুগ্ম সম্পাদক তপনকুমার বর্মন ও বিষ্ণুপদ সরকার জানান, অতীতের ভোগান্তি থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার এই দাবিতে আন্দোলনে নামা হবে। সেই আন্দোলনের কর্মসূচি ঠিক করতে শনিবার শিসাগড়ে বৈঠকের ডাক দেওয়া হয়েছে।
যদিও এ বিষয়ে জানতে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের প্রজেক্ট ডিরেক্টর সঞ্জীব শর্মাকে একাধিকবার টেলিফোন করা হলেও রিসিভ করেননি। মেসেজের জবাবও দেননি তিনি।
মাঝপথে পুরনো এজেন্সি কাজ ছেড়ে দিয়ে চলে যাওয়ায় দেড়বছর ধরে ফোর লেনের কাজ থমকে আছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ভোটের ফল বের হওয়ার পর নতুন এজেন্সি কাজ করবে। ৮০০ কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ওয়ার্ক অর্ডারও হয়ে গিয়েছে। নিজস্ব চিত্র