গৃহে শুভকর্মের আয়োজনে ব্যস্ততা। বন্ধুসঙ্গ ও সাহিত্যচর্চায় মানসিক প্রফুল্লতা। উপার্জন বাড়বে। ... বিশদ
মাটিগাড়া থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে বিশ্বাস কলোনি ও চামটা নদীর রেল সেতু সংলগ্ন এলাকা মাদক-হাবে পরিণত হয়েছে। এই এলাকাকে টার্গেট করে দীর্ঘদিন ধরে নেপাল ও বিহারের মাদক কারবারিরা ঘাঁটি গেড়েছে। প্রায়ই এই এলাকায় বহিরাগত যুবকদের আনাগোনা চোখে পড়ে। এরা মূলত ব্রাউন সুগারের কারবার করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার রেললাইন সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বাড়িতে মাদকের কারবার চলছে। এনজেপি, ভক্তিনগর, প্রধাননগর থানার কয়েকটি পরিচিত মাদক কারবারের ঘাঁটির মতোই মাটিগাড়ার বিশ্বাস কলোনি মাদকের মুক্তাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। মাটিগাড়ার এই এলাকাকে কেন্দ্র করে চুরি, ছিনতাই, বাইক চুরির মতো অপরাধমূক ঘটনা বাড়ছে। গত মঙ্গলবার সকালে মাটিগাড়ার চামটা রেল সেতু সংলগ্ন জঙ্গলে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ এখনও জানতে পারেনি মাটিগাড়া থানার পুলিস। যদিও পুলিস ওই মৃত্যুর ঘটনাটি ট্রেন দুর্ঘটনা বললেও স্থানীয়দের দাবি, ওই মহিলার মৃত্যু নিছক দুর্ঘটনা নয়। ওই মহিলার দেহ উদ্ধারের পর দেহে ট্রেনের আঘাতের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে তাঁর মাথায় গভীর ক্ষতচিহ্ন ছিল। যদিও মাটিগাড়া থানার পুলিস ওই ঘটনায় মুখে কুলুপ এটেঁছে।
শিলিগুড়ি পুলিসের ডিসিপি বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বলেন, মাটিগাড়া থানায় পুলিস নিয়মিত মাদকের ঘাঁটিতে অভিযান চালায়। গত কয়েকমাসে ১০-১২ জন মাদক কারবারিকে মাটিগাড়া থানার পুলিস গ্রেপ্তার করেছে। ওই এলাকায় নিয়মিত টহল দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে অফিসারদের। এছাড়াও আমাদের সাদা পোশাকের পুলিস ওই এলাকায় নজরদারি চালায়। মাটিগাড়ার চামটা নদীর রেল সেতু সংলগ্ন এলাকায় ও লাইনের ধারে সন্দেহজনক কাউকে ঘোরাফেরা করতে দেখলেই পুলিস তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তাছাড়া ওই মহিলার মৃত্যুর ঘটনাতেও তদন্ত চলছে।